টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি : দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজস্ব আদায়ের খাত সিগারেটের বাজার ও উৎপাদন সম্পর্কিত নির্দেশনা নিয়ে বেশ কয়েকবছর নানান ধরেই অভিযোগ ও দাবি শোনা যাচ্ছে। দাবিগুলো নিয়ে তামাক বিরোধী সংগঠন থেকে শুরু করে, দেশীয় তামাকজাত পণ্য উপাদনকারী কোম্পানির মালিক শ্রমিক এমনকি বাজেট বিশ্লেষকরাও বাজেটের আগে বেশ জোরেশোরেই আওয়াজ তুলেছেন গত কয়েকবছর। এবারও তার ব্যত্যয় হয়নি।
আজকের বাজেট সম্পর্কিত সংসদীয় বক্তব্যে এ ব্যাপারে কথা বলেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মির্জা আজম। তিনি এ খাত সংশ্লিষ্ট অভিযোগ ও দাবি দাওয়ার ব্যাপারে মাননীয় স্পিকার এর মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
তিনি বলেন, “দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত, সিগারেটের বাজারের প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার। এ খাতের রাজস্ব আদায় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানান অভিযোগ ও দাবি উঠে আসছে। এই খাতে সুষম বণ্টন না হওয়ায় বড় কোম্পানিগুলো আরও বড় হচ্ছে, অন্যদিকে ছোট কোম্পানিগুলো আরও ছোটো হয়ে যাচ্ছে। এমনকি সেগুলো রুগ্ন হয়ে বন্ধও হয়ে যাচ্ছে। এতে বিশাল অংকের ঋণের টাকা অনাদায়ী হওয়ার আশংকা তৈরী হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী শুধুমাত্র দেশীয় সিগারেট কোম্পানিগুলোর জন্য নিম্নস্ল্যাবের সিগারেটের খাত রিজার্ভ রাখার সিদ্ধান্ত ২০১৮-১৯ বাজেটে সংসদে পাশ হলেও তা এখনো মানছেনা বিদেশী কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকার টোব্যাকো। এ নিয়ে দেশী সিগারেট কোম্পানি ও বাজার বিশ্লেষকদের অনুরোধে এবারের বাজেটের আগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আওয়াজ তুলেছিলেন বেশ কয়েকজন সাংসদ।