নিরেন দাস,
দেশবরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক কাজী হায়াৎ। নিজের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ৫০ টি ছবি নির্মাণ করেছেন। যার মধ্যে ব্যবসা সফল ছবির সংখ্যাই বেশি। সবশেষ তার পরিচালিত ছবি শাকিব খানের ‘বীর’। নির্মাণের পাশাপাশি অনেক ছবিতে অভিনয়ও করেছেন তিনি। এবার এ পরিচালক কাজ শুরু করেছেন নিজের ৫১ তম ছবির। দুদিন ধরে সরকারি অনুদানের ‘জয় বাংলা’ শীর্ষক এ ছবির শুটিং করছেন তিনি। এর মাস কয়েক আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ ছিলেন দীর্ঘদিন।
এখন কেমন আছেন? উত্তরে মানবজমিনকে কাজী হায়াৎ বলেন, শরীর এখন ভালো আছে। যদিও দূর্বলতা রয়েছে সামান্য। ‘জয় বাংলা’ আপনার পরিচালিত ৫১ তম ছবি। এর মূল বৈশিষ্ঠ্য কী? এ পরিচালক বলেন, প্রথমত এটা মুক্তিযুদ্ধের ছবি। সরকারি অনুদানের ছবি। প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও অধ্যাপক মুনতাসির মামুনের কিশোর উপন্যাস ‘জয় বাংলা’ অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে। আমি চেষ্টা করছি সঠিকভাবে শুটিং সম্পন্ন করতে। এ কারণে আগেই বলেছিলাম এ ছবিতে কেউ মেকআপ করতে পারবে না। নায়ক বাপ্পী চৌধুরী ও নায়িকা জাহারা মিতুও এখানে মেকআপ ছাড়াই শুটিং করছেন। এখন সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে? কাজী হায়াতের উত্তর- অবস্থা শেষের দিকে। সিনেমা আর মাথা তুলে দাড়াতে পারবে না। এটাই আমার মনে হয়। ভালো ছবি, হলসহ সব কিছুরই সংকট অনেক। যে রমরমা অবস্থা সিনেমা ছিলো সেটা ফিরবেই না, বরংচ ধ্বংশের শেষ প্রান্তে দাড়িয়ে সিনেমা। হ্যাঁ, যদি সরকার প্রতিটি সিনেমা নির্মাণে অনুদান দেয়, হলগুলোতে অনুদান দেয় তাহলে হয়তো ভালো সিনেমা হবে। এ ছাড়া আর পথ নেই। এফডিসির সংগঠনগুলো সিনেমার উন্নয়নে কতটুকু ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন? এ গুণী পরিচালক বলেন, সিনেমার উন্নয়নে সংগঠনগুলোর কোনো ভূমিকাই নেই। আগে ছিলো। কিন্তু এখন সাহায্য-সহযোগিতা, তর্ক-বিতর্ক ও তার সমাধানেই ব্যস্ত সংগঠনগুলো। নতুন ছবি নির্মাণের পরিকল্পনা কি রয়েছে? কাজী হায়াৎ বলেন, সিনেমা আর নির্মাণ করবো না। অনেক হয়েছে। বয়সও হয়েছে। তাছাড়া সিনেমাও আগের মতো চলে না। ভালো পৃষ্ঠপোষক নেই, হল নেই- এভাবে ছবি হয় না। আগে তো নিজের ছবি নিজেরাই প্রযোজনা করেছি। এখন সেই বিনিয়োগের অবস্থাও নেই। তাই বিশেষ কিছু ছাড়া সিনেমা নির্মানের পরিকল্পনা আর নেই।