সিলেট নগরের সুরমা মার্কেটস্থ নিউ সুরমা আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় ৯জন নারী-পুরুষকে গ্রেফতার করেছে সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তবে এসময় হোটেলের দুই ম্যানেজার কৌশলে পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার (১৯অক্টোবর) রাত ৯ টায় নিউ সুরমা আবাসিক হোটেল থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
মহানগর পুলিশের মিডিয়া শাখা থেকে বুধবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে তাদের আটকের বিষয়টি জানানো হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৬জন নারী ও ৩জন পুরুষ রয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-চট্টগ্রামের পটিয়া থানার আশিয়া গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে মো.ইমন মিয়া (২৬), সিলেটের জকিগঞ্জের চারিগ্রামের আঞ্জির আলীর ছেলে তুহিন আহমদ (২৪), ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানার বড় মুসকুন্নি গ্রামের মো.শাহজামান মিয়ার ছেলে গোলাম রাব্বানী (৩৬), কক্সবাজারের রামু থানার করিম উদ্দিনের মেয়ে মোছা.লাবন্য আক্তার (২৫), খুলনার রূপসা থানার নিকলাপুর গ্রামের মাসুম গাজীর মেয়ে মোছা. সাথী আক্তার (২৪), শ্রীমঙ্গলের সাতগাঁও (জামসী) আয়াজ আলীর মেয়ে শেফালী বেগম (২৫), কক্সবাজারের উঁখিয়ার জালিয়া পালং গ্রামের বেলাল মিয়ার মেয়ে জ্যোৎস্না আক্তার (২৫), টাঙ্গাইলের নাগরপুরের দুপুরিয়া গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে নয়ন মনি (২৬), সিলেটের কানাইঘাটের শিবনগর গ্রামের তাছিরুল হকের মেয়ে জেরিন আক্তার তারিন (২৩)। তাদের গ্রেফতারকালে বর্ণিত হোটেলের মালিক আরজত চৌধুরী (৪৫) ও হোটেলের ম্যানেজার আব্বাস মিয়া (৪৭) কৌশলে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে জানা যায় নিউ সুরমা (আবাসিক) হোটেলের মালিক আরজত চৌধুরী (৪৫) ও হোটেলের ম্যানেজার আব্বাস মিয়া (৪৭) দীর্ঘদিন যাবত পরস্পর যোগসাজশে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে উঠতি বয়সী মেয়েদের তাদের হোটেলে নিয়ে আসে এবং পতিতা বৃত্তি/দেহ ব্যবসার কাজে লিপ্ত রাখে।
হোটেলের মালিক ও ম্যানেজারসহ ধৃত সকল অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং-৪৬ তারিখ- ২০/১০/২০২১খ্রিঃ ধারা- মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ১২/১৩ রুজু করা হয়।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের মুখপাত্র বিএম আশরাফ উল্যা তাহের।