জুয়েল খাঁন,সিলেট জেলা প্রতিনিধি
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে হাওরের বুকে গজিয়ে ওঠা বৃক্ষগুল্মের জলছায়া আর সুরের মুর্চ্ছনা উদ্বেলিত করেছে প্রতিযোগিতা দেখতে আসা হাজার হাজার দর্শককে। বিপুল সংখ্যক মানুষ ছোট ছোট নৌকা নিয়ে উপভোগ করেন নৌকা বাইচ। সবমিলিয়ে হাওরপাড়ে বিরাজ করছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামবাসীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ নৌকা বাইচে ‘পঙ্খিরাজ’, ‘কুশিয়ারার তরী’, ‘কনাইশাহের তরী’, ‘ইব্রাহীম শাহের তরী’সহ সিলেটের বিভিন্ন এলাকা থেকে একাধিক নৌকা অংশ নেয়। প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার ছিল একটি ষাঁড়, ২য় পুরস্কার একটি ১৯ ইঞ্চি রঙিন টেলিভিশন, ৩য় পুরস্কার একটি সিলিং ফ্যান ও ৪র্থ পুরস্কার ছিল একটি টেবিল ফ্যান।
স্থানীয় যুবক ফারহান খাঁন বলেন, গ্রামবাংলা থেকে নানা কারণে নৌকা বাইচ বিলীন হতে চলেছে। হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে গত কয়েকবছর ধরে শরৎ মৌসুমে বল্লভপুর গ্রামবাসীর উদ্যোগে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নৌকা বাইচের দিনক্ষণ ঠিক হওয়ার পর থেকেই এলাকার লোকজন তাদের আত্মীয়-স্বজনদের প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে আমন্ত্রণ জানান। তাদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে অনেকে আগের দিন থেকে স্থানীয়দের বাড়িতে এসে অবস্থান করেন। নৌকা বাইচকে কেন্দ্র করে এই এলাকা পরিণত হয় মিলনমেলায়।
প্রতিযোগিতায় অতিথি ছিলেন পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন গেদাই, পশ্চিম পৈলনপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মনুর মিয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. আকছার মিয়া, ইউপি সদস্য মো. রইছ উল্লা, সাবেক ইউপি সদস্য আনছার মিয়া প্রমুখ।
নৌকা বাইচ বিকেল ৩টায় শুরু হয় এবং সন্ধ্যার পূর্ব পর্যন্ত চলে। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান ও দ্বিতীয় স্থান নিয়ে মতভেদ তৈরি হওয়ায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিচারকরা কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি।