আমান উল্লাহ প্রতিবেদকঃ
দেশে নতুন মাদক হিসেবে বিস্তার ঘটছে আইস ও এলএসডির। চাইলেই মিলছে ইয়াবা-ফেন্সিডিল। সীমান্তপথে দেশে অবাধে ঢুকছে এসব মাদকের চালান। প্রতিনিয়তই বদলাচ্ছে মাদকের রুট। অনলাইনকেন্দ্রিক প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।
ইয়াবা, ফেনসিডিল ছাড়াও দেশে নতুন মাদক হিসেবে আইস ও এলএসডির বিস্তার ঘটছে। দেশে এগুলোর উৎপাদন না হলেও প্রতিবেশী দেশ থেকে তা ঢুকছে অবাধে। করোনাকালেও নানা কৌশলে সীমান্ত থেকে তা ছড়িয়ে পড়ছে দেশের সব প্রান্তে।
গোয়েন্দারা বলছে, এক সময় নাফ নদ দিয়ে বেশি চালান এলেও এখন বদলেছে রুট। এলএসডি আসছে ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে। আইস আসছে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে । আইস আর ইয়াবার সবচেয়ে বড় রুট মিয়ানমার । তাছাড়া ভারত নেপাল সীমান্ত দিয়েও আসছে ইয়াবা ।
তবে গাজা বেশি আসে কুমিল্লা রুট দিয়ে । আর ফেনসিডিল আসে যশোর বেনাপোল থেকে । টেকনায়, কক্সবাজার আর সিলেট রুটই বর্তমানে বেশি ব্যবহারর করছে মাদকব্যবসায়ীরা ।
পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান বিশ্নেষণ করে দেখা যায়, মাদক জব্দ ও মামলার সংখ্যা কমছে। ২০১৭ সালে গ্রেপ্তার করা হয় এক লাখ ২৫ হাজার ৬৫১ জনকে। ২০১৮ সালে এক লাখ ৪৭ হাজার ৮০৩ জন, ২০১৯ সালে এক লাখ ৫০ হাজার ১৭৫ জন, ২০২০ সালে ৯৯ হাজার ৯৮৫ জন। আর চলতি বছরের প্রথম আট মাসে গ্রেপ্তার হয়েছে ৬০ হাজার ৩৫৬ জন।
তদন্তে বেরিয়ে এসেছে বার্মিজ কাপড়, আচার, কাঠ ও পেঁয়াজ এসব পণ্যের মোড়কের আড়[লে সুকৌশলে মাদক আনা হয় ।
পুলিশ বলছে, মাদকের প্রবেশ ঠেকাতে সবাইকেই একযোগে কাজ করতে হবে ।
মাদক নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক কাজ করছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি ।
তবে এতো চেষ্টার পরও কেনো মাদকের প্রভাব দেশে কমছে না তার কোন সদুত্তর নেই কারো কাছে ।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..