শামীম সরকার নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সততা আর শিষ্টতার অনিবার্য আইকন ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তাঁর নিবিড় সান্নিধ্য পেয়েছিলেন কিশোরগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি বাদল রহমান। প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে কাটানো অবিস্মরণীয় সব স্মৃতি এখনো তাকে আলোড়িত করে।
সেই সময়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বাদল রহমান বলেন, ছোট্ট শিশুর মতো কোমল মন ছিল সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের। অফুরান প্রাণশক্তি ছিল তাঁর। টানা পরিশ্রমেও তাঁকে কখনো ক্লান্ত হতে দেখিনি।
ওয়ান-ইলেভেনের সময় সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বিচক্ষণতা দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। সংকটময় সে সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক উত্তরণে শক্তভাবে হাল ধরেছিলেন তিনি। কোন হুমকি-প্রলোভন তাঁকে তাঁর লক্ষ্য থেকে বিচ্যুৎ করতে পারেনি।
বাদল রহমান বলেন, দফায় দফায় মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার পরও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ছিলেন নির্লোভ। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি তাঁকে ছুঁতে পারেনি। এমনকি সুযোগ থাকার পরও সৎ থেকে নির্মোহভাবে একেবারেই সাধারণ জীবন যাপন করে গেছেন তিনি। সত্যিকার অর্থেই, খুব ভালো মানুষ ছিলেন তিনি। আজকালকার দিনে এরকম মানুষ পাওয়া দুস্কর।
বাদল রহমান বলেন, জীবদ্দশায় তিনি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জের মানুষের আস্থার প্রতিদান দিতে সচেষ্ট ছিলেন। আমরা কিশোরগঞ্জবাসী আমাদের সন্তান হিসেবে গর্বের সঙ্গে উনার নামটি উচ্চারণ করে থাকি। তাঁর মৃত্যুর মধ্যদিয়ে আমরা আমাদের সে গর্বের ধনকে হারিয়ে ফেলেছি
বাদল রহমান বলেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম কিশোরগঞ্জবাসীর এক অনুভূতির নাম। মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের সন্তান হিসেবে পারিবারিক ঐতিহ্য এবং একজন সৎ, ভদ্র ও বিনয়ী মানুষ হিসেবে ক্লিন ইমেজের এমন রাজনীতিবিদ বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিরল।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy