আক্কেলপুর,প্রতিনিধিঃ-
গত ৭-৮ এপ্রিল সূর্যোদয় পত্রিকায় “আক্কেলপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে কবর দেওয়াকে কেন্দ্র করে আহত-৩” এ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর সোমবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়ন হয়ে মামলার এজাহার ভুক্ত ৬ জন আসামি সিএনজি যোগে পালানোর সময় থেকে গোপন সংবাদের ভিক্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন জনকে আটক করে ও বাঁঁকি ৩ জন আসামি সুকৌলে ধান ক্ষেত দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার তিলকপুর ইউপির পশ্চিম শিয়ালা পাড়া গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে শহীদুল ইসলাম(৩৫),ভাটকুঁড়ি ডাকেরপুকুর গ্রামের আব্বাস ফকিরের ছেলে মুনসুর আলী(৪৫) ও বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলার গোড়গ্রামের বাসিন্দা বাবলুর ছেলে জয়নাল (২৫)।
মামলা ও প্রকাশিত সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, আটককৃতরা গত ৬ এপ্রিল পূর্ব শত্রুতার জেরে ও কবর দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের তিন জনকে পিটিয়ে আহত করার পর গভীর রাতে খড়ের পালাতে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠে প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে।
গত মঙ্গলবার সকালে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত প্রতিবেশী আচন বেগম নামে এক নারীর মৃত্যু হলে। নির্ধারিত কবরস্থানে কবর দেওয়ার কথা গ্রামবাসী ও প্রতিবেশী জালাল, বেলাল, মৃত আচন বেগমের পরিবারকে বলেন।
তখন আচন বেগমের পরিবাররা পূর্ব শত্রুতার জেরে শাবল ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি মারধর শুরু করে। তখন তারা দৌঁড়ে জালালের বাড়ির ভেতর গেলে বাড়ির দরজা ভেঙ্গে আচনের পরিবারের লোকজন বেলালের মাথায় ও চোখে, জালালের পিঠ ও কোমর এবং তার ছেলে মাসুদকেও পিটিয়ে আহত করে।তাদের উদ্ধার করে আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে গত বুধবার দিবাগত গভীর রাতে বেলালের খড়ের পালা আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়া। এঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে আক্কেলপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
আক্কেলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুর রহমান জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয়কে বলেন,উক্ত ঘটনায় থানায় মামলার পর আসামিদের আটকের জন্য পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত থাকলে সোমবার বিকেলে ধূর্ত আসামিরা সিএনজি যোগে পালিয়ে যাচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিক্তিতে গোপীনাথপুর ইউপি থেকে ৩ জন আসামিকে আটক করা হয় ও পলাতক ৩ জন পলাতক ৩ জন আসামিদের আটকের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো বলেন আটককৃত ৩ জনকে সোমবার বিকেলেই আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
Leave a Reply