দিলনাজ খালেক
ভারতীয় সেলিব্রেটি তারা। বিভিন্ন টেলিভিশনে জনপ্রিয় মুখ। আছেন নায়ক। আছেন নায়িকা। তারা একে অন্যের প্রেমে পড়েছেন দীর্ঘদিন। কখনো দশক পেরিয়ে গেছে। তবে এখনও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হননি। কারো কারো জন্য এর কারণ, ক রো না ম হা মারি। এই ম হা মা রি তাদের পরিকল্পনাকে ভণ্ডুল করে দিয়েছে। আবার কেউ কেউ আছেন, তারা মনে করেন, তাদের ভালবাসাকে বৈধতা দেয়ার জন্য বিয়ে জরুরি নয়।
এমনই কিছু প্রেমিক-প্রেমিকা যুগলকে নিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তারা বছরের পর বছর একসঙ্গে সহাবস্থান করছেন। কিন্তু বিয়ে করেননি। এমন যুগলদের মধ্যে আছেন-
হিনা খান এবং রকি যশোয়াল
‘ইয়ে রিসতা কিয়া কেহলাতা’ করার সময় তারা প্রেমে পড়ে যান। তখন এর সুপারভাইজিং প্রডিউসার ছিলেন রকি। এখন থেকে এক দশক ধরে একে অন্যের ভালবাসায় হাবুডুবু খাচ্ছেন। সেই ভালবাসা কোনো বাধা ছাড়াই মসৃণ গতিতে চলছে। মাঝে মাঝেই তারা ভ্রমণে যান একসঙ্গে। আবার বিশেষ মুহূর্তকে একসঙ্গে সেলিব্রেট করেন।
আবিগাল পান্ডে ও সনম জোহর
দু’জনেরই বন্ধু, এমন এক বন্ধুর বাড়িতে সাক্ষাৎ তাদের। সেই থেকে একে অন্যের প্রেমে পড়ে গেছেন। অনেক বছর হলো তারা একসঙ্গে আছেন। একজনকে ছাড়া অন্যজনের চলেই না! ২০২০ সালে বিয়ের পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই পরিকল্পনা ভণ্ডুল হয়ে গেছে করোনা মহামারিতে। তাতে কি! তারা এখন একসঙ্গেই বসবাস করছেন। আবিগাল বলেছেন, আমাদের চারপাশে যারা আছেন, সবাই জানতে চান- কবে বিয়ের প্লান করছি। সনম এবং আমি বিয়ের পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু করোনা মহামারি তা শেষ করে দিয়েছে। যখন সবাই স্বস্তির সঙ্গে আসতে পারবেন এবং আমাদেরকে আশীর্বাদ করতে পারবেন, এমন এক সময়ে আমরা বিয়ে করতে চাই। আমার মনে হয় যদি আমার বিয়েতে প্রিয়জন এবং পরিবার অংশগ্রহণ করতে না পারে, তাহলে সেই বিয়ের কি মূল্য আছে! সনম এবং আমি এরই মধ্যে একসঙ্গে বসবাস করছি। একসঙ্গে জীবনকে উপভোগ করছি।
সৃজিত দে ও মাইকেল বিপি
বিগ বস ১৬-এর বিখ্যাত অভিনেত্রী সৃজিত দে এবং তার প্রেমিক মাইকেল বিপি অনেক বছর ধরে একসঙ্গে আছেন। কিন্তু তারা এখনও বিয়ে করেননি। অনেক দিন ধরে বিয়ের পরিকল্পনা করছেন। অবশেষে জুলাইয়ে বিয়ে করতে যাচ্ছেন। ইটি টাইমস টিভি’কে সৃজিত বলেছেন, বিয়ের প্রস্তুতি এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। তবে সবকিছু এখনও চূড়ান্ত করিনি। বিয়ে কোথায় হবে, শুধু সেই স্থানটি বুকিং করেছি। তারিখ চূড়ান্ত করা হবে। বাকিটা পোশাক, ডেকোরেশন, আমন্ত্রণ, অতিথির তালিকা, কতজন বিয়েতে যোগ দেবেন- এর কিছুই করা হয়নি। জার্মানিতে এই বিয়ে হবে হামবার্গে। আর বাংলায় এই বিয়ের অনুষ্ঠান হবে গোয়াতে।
অ্যাশলেশা সাভান্ত ও সন্দীপ বিশ্বওয়ানা
‘কিউঙ্কি সাস ভি কাভি বাহু থি’-এর এই দুই শক্তিমান তারকা দুই দশক ধরে একসঙ্গে লিভ টুগেদার করছেন। তবে এখনও বিয়ে নিয়ে কোনো কথা বলছেন না তারা। লিভ টুগেদারেই তারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। এ বছরের শুরুতে অ্যাশলেশার জন্মদিনে তারা একটি নোট দেন। তাতে ব্যাখ্যা দেয়া হয় কেন তারা বিয়ের প্রয়োজন দেখছেন না। অ্যাশলেশা লিখেছেন, অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেন- তোমার বিয়ে কর নি। এর মানে কি? সন্দীপ তোমার ভালবাসাকে আমি কতটা অনুভব করি, তার ব্যাখ্যা কিভাবে দেবো জানি না। পুরো জীবনে তোমার মতো কেউ আসেনি আমার জীবনে। মানুষ কাউকে ভালবাসে সে যা করে তার জন্য। কিন্তু আমি শুধু তোমাকে ভালবাসি। যে নিজেকে ভালবাসে। তুমি ভীষণ মনোহারী এবং ম্যাজিক্যাল। যখন আমি দেখি বিশ্ব জিনিসপত্র এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দিকে যাচ্ছে, তখন ঘরে ফিরে দেখি, তুমি মেডিটেশন করছ। হাসছ। তুমি আমার হৃদয়, আত্মা জয় করে নিয়েছো। আমার প্রতিটি নিঃশ্বাসে তোমাকে অনুভব করি। তুমি আমার গ্লাডিয়েটর। শিন্ডলার। তোমার গর্জিয়াস মুখে এটাই দেখি। এই ভালবাসার ভুবনে তুমি গডফাদার।
দিলনাজ ইরানি ও পারসি কারকারিয়া
এক দশকের বেশি সময় ধরে একসঙ্গে বসবাস দিলনাজ ও তার পার্টনার পারসি কারকারিয়ার। এর আগে তাদের ভালবাসা ব্যর্থতায় রূপ নেয়। পরে সতর্কতার সঙ্গে শুরু করেন। গত বছর দিলনাজের ৫০তম জন্মদিন ছিল। এদিন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। কিন্তু এখন তারা মনে করছেন বিয়ে শুধু একটি কাগজের ওপর সিলছাপ্পর আর স্বাক্ষর। দিলনাজ বলেন, আমি মনে করি বিয়ে হলো অতি বাড়াবাড়ি একটি বিষয়। এ নিয়ে যখন লোকজন আমাকে প্রশ্ন করে তখন আমি লজ্জিত হই এবং নার্ভাস হয়ে যাই। আমি উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। মাঝে মাঝে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে মজা করে বলি, আমি বিয়ে করতে পারি এবং ৫০তম জন্মদিনে সারপ্রাইজ দিতে পারি। পারসি এবং আমি যুগল হিসেবে যেভাবে আছি, তাতেই আমরা খুশি। আমাদের সম্পর্ককে একটি ডকুমেন্টে স্বাক্ষর করে রাখার প্রয়োজন দেখছি না। আমরা একে অন্যকে ভালবাসি- এটাই আমাদের সৌভাগ্য। হয়তো আমরা আবার ভালবাসা খুঁজে পেয়েছি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমাকে দু’বার বিয়ে করতে হবে। আমার এই সিদ্ধান্তে পারসি এবং আমার পরিবার সন্তুষ্ট।
রাহুল দেব ও মুগধা গডসে
এই যুগলও বিয়ে না করে প্রায় এক দশক এক ছাদের নিচে কাটিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি তারা একসঙ্গে অংশ নিয়েছেন রিয়েলিটি শো ‘পাওয়ার কাপল’-এ। রাহুলের প্রথম স্ত্রী রিনা মারা যাওয়ার পর মুগধার প্রেমে পড়েন রাহুল। বিয়ে না করলেও তারা এই জীবনে বেশ সুখী। এ নিয়ে রাহুল মিডিয়াকে বলেছেন, আমরা যেভাবে জীবন চালিয়ে নিচ্ছি তাতে দু’জনেই খুশি। একসঙ্গে বিলাসবহুল বাড়িতে আছি। ভ্রমণ করছি। প্রয়াত স্ত্রী রিনার ঔরসে জন্ম নেয়া একটি বেড়ে ওঠা ছেলে আছে আমার। তার নাম সিদ্ধান্ত। মুগধার আছে একজন যুবক ভাজিতা ও ভাতিজি। তাদের দেখাশোনা করে মুগধা।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy