তিনি অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের কারপাকিংসহ ৫টি প্রতিষ্ঠানের ইজারা নিয়ে গত বছর থেকে তারা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। হঠাৎ বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে গত মার্চ মাসের ২০ তারিখ থেকে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপুল পরিমান অর্থের ক্ষতির সম্মুখিন হয়। গত ৪ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটি খুলে দেয় সাংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। প্রতিষ্ঠানটি খুলে দেয়ার পর অন্য প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদাররা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমাদের ইজারার মেয়াদের পর বিশেষ সুবিধায় ৫টি প্রতিষ্ঠান কিছু দিনের জন্য ইজারা চালু রাখার জন্য অনুরোধ করেন। নয়তো সরকারে পক্ষ থেকে তাদের কিছু ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য দাবি জানিয়ে পরিচালকের বরাবর আবেদন করেন। সেই আবেদনের কোন জবাব না পেয়ে তিনি গত ১ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে একটি রিট করেন। রিটে তাদের আইনজীবি সোনারগাঁ জাদুঘরের ৫টি প্রতিষ্ঠানের ইজারা ২ সপ্তাহ বন্ধ রাখার জন্য আদালতকে অনুরোধ করেন। আদালত তাদের আইনজীবির অনুরোধে ইজারা কার্যক্রম আগামী ২ সপ্তাহ বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন বলে জানান কৃষ্ণ চন্দ্র সাহা। কিন্তু আদালতের সেই নির্দেশ অমান্য করে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। যা আদালত অবমাননা বলে দাবি করেন তিনি।
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক রবিউল ইসলাম জানান, আমরা সরকারী নিয়ম মোতাবেক ৫টি প্রতিষ্ঠানের ইজারার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন করে দরপত্র আহবান করেছি।আদালতের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে তিনি জানান, আমরা আদালতের নিষেধাজ্ঞা কোন পেপারস পাইনি। রিট প্রদানকারীর পক্ষে ক্ষতিপূরণের একটা আবেদন পেয়েছি। আবেদনটি আমরা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। মন্ত্রণালয় এ আবেদনের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত জানালে আমরা আবেদনকারীকে জানাবো।