সোনারগাও প্রতিনিধি: উপজেলা প্রশাসন সোনারগাঁ ফেসবুক পেজে ,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইদুল ইসলাম সোনারগাঁয়ে কে আসল দূর্নীতিবাজ! শিরোনামে আজ দুপুরে ওকটি স্টাটাস দেন। এতে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অনিয়মের অভিযোগ খন্ডন করার চেস্টা করেন এবং আসল দুর্ণীতিবাজ কে? বিষয়টি তুলে ধরেন।
স্টাটাসটি নিচে তুলে ধরা হলো।
সোনারগাঁয়ে কে আসল দূর্নীতিবাজ!!!
আমার প্রিয় সোনারগাঁবাসী
আপনারা নিশ্চয়ই পত্রিকা মারফত অবগত হয়েছেন যে, আপনাদের ইউএনও একজন মহা দূর্নীতিবাজ!! এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে দূর্নীতিদমন কমিশনসহ বিভিন্ন উর্দ্বতন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগটির আদ্যপ্রান্ত ও প্রকৃত ঘটনা আপনাদের একজন সেবক হিসেবে আপনাদের জ্ঞাতার্থে সবিনয়ে তুলে ধরছি। যিনি অভিযোগ করেছেন তিনি একজন ঠিকাদার। ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
দুধঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চারকক্ষ বিশিষ্ট আধাপাকা একটি টিনশেড ভবন নিলামে বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। সর্বোচ্চ দরদাতা ২৫,৫০০ টাকায় নিলামটি পেয়েছেন। যিনি দূর্নীতির অভিযোগ করেছেন তিনি দর দিয়েছিলেন ২১,০০০/- টাকা। সর্বোচ্চ দরদাতাকে নিলামটি সরকারিভাবে প্রদান করে ২৫,০০০/- টাকা চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয় (ছবি সংযুক্ত)।
যিনি অভিযোগ করেছেন সেই ঠিকাদারের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস আপনাদের জন্য তুলে ধরছিঃ
০১। অভিযোগে নাম ব্যবহার করা হয়েছে মোঃ মোরশেদ কিন্তু মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করা হয়েছে মোজাম্মেল হক এর (০১৮১২-১৫২৮৮১)।
০২। ২০১৮ সালে কাঁচপুর হাইওয়ে থেকে মোশারফ চেয়ারম্যানের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার কাজ না করেই বিল দাখিল করেন পিরোজপুর ইউনিয়নের মঙ্গলেরগাঁও গ্রামের ঠিকাদার মোঃ মোজাম্মেল হক এবং তাকে বিল না দেওয়ায় দুদকে মিথ্যা অভিযোগ করে সোনারগাঁয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে গ্রেফতার করান।
০৩। স্কুলে অতিব নিম্নমানের কাজ করায় এবং সঠিকভাবে কাজ বুঝে নিতে চাওয়ায় শাহচিল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে থানায় জিডি দায়ের করেন।
০৪। কাজ না করে বিল দাখিল করার কুখ্যাতি রয়েছে উক্ত ঠিকাদারের।
এবার আপনারা বলুন কে আসল দূর্নীতিবাজ?
ইউএনও? অভিযোগকারী ঠিকাদার? যে সাংবাদিক যাচাই না করে অর্থের বিনিময়ে মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করেছেন? নাকি যে প্রভাবশালী ব্যক্তি এই অভিযোগটি করিয়েছেন?
আপনাদের কাছে আমার ছোট্ট একটি প্রশ্ন সোনারগাঁয়ের ইউএনও যদি দূর্নীতি করতেই চায় তবে তাকে ৪,৫০০/- (চার হাজার পাঁচশত) টাকার দূর্নীতি করতে হবে?
পুনশ্চঃ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা ও ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য ইতোমধ্যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বাস রাখুন যারা সোনারগাাঁবাসীর অধিকারে এতটুকু হাত দেবে তারা কেউ ছাড় পাবেনা।
সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন এই শুভকামনা সবসময়