তানভীর আহাম্মেদ সোনারগাঁও প্রতিনিধিঃ
হেফাজতের তান্ডবের দায় জাতীয়পার্টির নেতাকর্মীদের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে এবং জাতীয়পার্টির নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইতিমধ্যে জাতীয়পার্টির শীর্ষ দুইজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।ওই ঘটনায় যাদের সম্পৃক্ততা নাই। এমন পরিস্থিতিতে বিবৃতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও
মহাসচিবজিয়াউদ্দিনআহাম্মেদ বাবলু। বিবৃতিতে সােনারগাঁয়ে এ আটক জাতীয় পার্টি নেতৃবৃন্দের মুক্তি এবং হয়রানির বন্ধের দাবি করা হয়েছে। জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলােয়ার জালালী প্রেরিতে ২১ এপ্রিল বুধবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরােধী দলীয় উপনেতা গােলাম মােহাম্মদ কাদের এমপি এবং জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু
একযৌথ বিবৃতিতে সােনারগাঁ উপজেলা জাতীয় পার্টি সভাপতি ও শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রউফ এবং সােনারগাঁ পৌর জাতীয় পার্টি সহ-সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ তপনের মুক্তি দাবি করেছেন।
এক যৌথ বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরােধী দলীয় উপনেতা গােলাম মােহাম্মদ কাদের এমপি এবং জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, গেলাে ৩ এপ্রিল সােনারগাঁও এর রয়াল রিসাের্টে হামলার ঘটনায় জাতীয় পার্টি বা জাতীয় পার্টির কোন নেতাকর্মী জড়িত নয়।অথচ উদ্দেশ্যপ্রণােদিতভাবে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে জাতীয় পার্টির জনপ্রিয় দুই নেতাকে আটক করা হয়েছে।
এছাড়া আরাে অন্তত ৩৫ নেতা কর্মীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করা হচ্ছে । জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরােধী দলীয় উপনেতা গােলাম মােহাম্মদ কাদের এমপি এবং জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এক যৌথ বিবৃতিতে আরাে বলেন,
মাহে রমজানের পবিত্র মাস এবং মহামারি করােনাকালে জাতীয় পার্টির নেতা কর্মীরা ঘরে থাকতে পারছেনা।প্রতিরাতে পুলিশ জাতীয় পার্টি নেতা – কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হানা দিচ্ছে। এতে ঐসকল পরিবারে মারাত্মক ভীতি সৃষ্টি হয়েছে।
যৌথ বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি নেতৃবৃন্দ বলেন, নিরপরাধ এবং ঐ ঘটনার সাথে জড়িত নয় এমন কোনাে ব্যক্তি যেনাে অযথা গ্রেপ্তার বা হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য সরকারের প্রতি দাবী জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতৃদ্বয় ।