সোনারগাও প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাস কভিড (১৯) মহামারীতে নিজের জীবন বাজী রেখে অসহায় গরীব-দুঃখী মানুষের চিন্তায় প্রত্যন্ত গ্রামের পাড়া-মহল্লায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অবিরাম ছুটে চলেছেন তিনি। জনসাধারণকে সচেতন করতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় কখনও অবৈধ দখল উচ্ছেদে কর্দমাক্ত খালে নেমে পড়ছেন, আবার কখনও গভীর রাতে নিজ হাতে ত্রাণের খাদ্যসামগ্রী নিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামের অসহায় মায়ের দ্বারে দ্বারে কড়া নাড়ছেন। মানবতার সেবায় নির্ঘুম রাত, আর অক্লান্ত সকাল-দুপুর ছুটে চলায় যার ব্রত। তিনি হলেন সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলা। উল্লেখযোগ্য যে, সোনারগাঁ উপজেলায় করোনা পরিস্থিতিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য নিবার্হী কর্মকর্তা জনাব মোঃ সাইদুল ইসলাম কে মোবারক হোসেন স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।(২২জুন) সোমবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। একদল দুর্নীতিবাজ, স্বার্থান্বেষী, ভূমিদস্যু ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক মহল একাট্টা হয়ে তাকে বদলী করাতে নানান ধরণের অপপ্রচারে নেমেছে। যা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে রীতিমতো ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনের নির্দেশনায় সরকারের অর্পিত সকল কার্যক্রম যথাযথভাবে পালন করে আসছেন ইউএনও মো.সাইদুল ইসলাম। যে কারণ সোনারগাঁও সর্বমহলের মন জয় করে নিয়েছেন। তার প্রচেষ্টায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সোনারগাঁও উপজেলা স্বচ্ছতার মানদণ্ডে একটি মডেল উপজেলা হিসাবে ইতিমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছে। তার মেধা, সততা, কর্মদক্ষতা, মানবিকতা, যেখানে সমস্যা সেখানেই ছুটে গিয়ে সমাধান করাসহ বিভিন্ন মানবিক গুণাবলীর কারণে তিনি এ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন। সোনারগাঁও উপজেলার মাটি ও মানুষের সাথে মিশে যাওয়া ইউএনও সাইদুল ইসলাম ৩০ তম বিসিএস ক্যাডার দিনাজপুর জেলার সদর উপজেলার সন্তান। গত ১৮ মার্চ সোনারগাঁও উপজেলায় যোগদানের পর থেকে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চলেছেন তিনি। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি। অসহায় ও কর্মহীন মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন খাদ্য সহায়তা। ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ পরবর্তী তার বর্তমান ভূমিকাও প্রশংসার দাবী রাখে। এছাড়া ‘ক্লিন সোনারগাঁও ,গ্রিন সোনারগাঁও গড়ে তোলার লক্ষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইদুল ইসলাম নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। নাগরিকদের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখে ইতিমধ্যেই তিনি অত্র উপজেলার কয়েক লক্ষাধিক মানুষকে মুগ্ধ করেছেন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও নাগরিক অধিকার সুরক্ষাসহ দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে ছুটে চলা ইউএনও মো. সাইদুল ইসলাম যোগদানের মাত্র তিন মাসের মধ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সকল প্রকার দুর্নীতি-অনিয়ম রুখে দিয়ে। অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ, নদী ভরাট, খালে-বিলে পানি নিষ্কাশনের প্রতিবন্ধকতায় নেট-পাটা অপসারণ, হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাটের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহলের শত্রু হলেও একের পর এক ইতিবাচক ঘটনার জন্ম দিয়ে সাধারণ মানুষের আস্থার পাত্র হয়ে উঠেছেন তিনি। একজন ইউএনও’র তদারকিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন পরিষদ, সরকারের চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের প্রায় সকল দপ্তরে কিছুটা হলেও স্বচ্ছতা ফিরেছে, সরকারের প্রতি আস্থা ফিরেছে সাধারণ মানুষের। কিন্তু ভূমিদস্যু-দুর্নীতিবাজ, স্বার্থান্বেষী মহলের গাত্রদাহে এই সৎ মানুষটির বিরুদ্ধে চলছে নানা ষড়যন্ত্র! তাকে বদলী করতে উঠে পড়ে লেগেছে একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক মহল। একটি সূত্র জানায়, প্রতি বছর জুনমাস এলেই নড়েচড়ে বসে একটি দুর্নীতিবাজ ও প্রভাবশালী চক্র। প্রতিবছর জুন মাস এলেই তাদের খাওয়া ঘুম হারাম হয়ে যায়। আইওয়াশ টেন্ডারের মাধ্যমে কোন কাজ না করেই এডিপি’র লক্ষ লক্ষ টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেয় এই সিন্ডিকেট। বর্তমান ইউএনও এখানে থাকলে উক্ত টাকা কোনভাবেই ভাগাভাগি করতে পারবেনা বলে তারা ইউএনও’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার ও দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। তারই অংশ হিসেবে বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম যোগদানের পর থেকে তিনি অনিয়মের বেড়াজাল ভাঙতে শুরু করেন। তিনি। নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেছেন। প্রবহমান খালে অবৈধ নেট-পাটা অপসারণ, অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ, ফুটপাত দখলমুক্ত করে সাধারণের চলাচলের পদক্ষেপ গ্রহণ করে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, কোথাও আবার কঠোর হস্তে আইনের শাসন প্রয়োগ করছেন। যে কারণে তিনি সাধারণ মানুষের মনের মাঝে স্থান পেয়েছেন তিনি। এদিকে নারায়ণগঞ্জ দুর্নীতি পরায়ণ কতিপয় জনপ্রতিনিধিসহ সিন্ডিকেট চক্র অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নিতে না পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধাচরণসহ নানাবিধ ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। অযৌক্তিক অজুহাতে পায়তারা করছে এমন অভিযোগ সচেতন মহলের। এ বিষয়ে বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামিলীগের সিনিয়র সসহসভাপতি বির মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোশারফ বলেন, যারা অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নিতে পারছে না তারাই ইউএনও বিরুদ্ধেলেগেছ। তিনি আরও বলেন, নিঃসন্দেহে ইউএনও একজন ভালো মানুষ, তিনি সঠিক কাজগুলোই করছেন এবং দেশের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে ছুটে চলা সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। যতদিন আছি, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাবো। আমি সরকারের একজন প্রতিনিধি হিসেবে উপজেলায় দায়িত্ব পালন করতে এসেছিমাত্র।’ এ সময় সকলের সহযোগিতা পেলে সোনারগাঁও উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কল্যাণে যা যা করার প্রয়োজন সেটি করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।