কাজী মোতাহার হোসেন নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
করোনাকালে বন্ধ রয়েছে কলেজ। তাই মেস থেকে বাড়ি ফিরে অলস সময় কাটাচ্ছিলেন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নাঈম ইসলাম খোকন।
বাড়িতে বসে না থেকে আধুনিক কৃষি কাজ করার ইচ্ছা জাগে তার। প্রবাসী বড় ভাইয়ের পরামর্শে সৌদি আরবের ফল “সাম্মাম” চাষ করার উদ্যোগ নেন তিনি। পরে ইন্টারনেট ও কৃষি অফিসের পরামর্শে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করেছেন তিনি। প্রথমবার চাষেই বেশ সাফল্য পেয়েছেন।
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কচুবাড়ীয়া গ্রামের তরুণ কৃষি উদ্যোগতা নাঈম প্রথম ৩৩ শতাংশ জমি বর্গা নিয়ে এ চাষ করেছেন।
পুষ্টিগুণে ভরপুর বিদেশি এ ফল চাষাবাদের তেমন একটা প্রচলন নেই দেশে। সাম্মাম চাষে ঝুঁকি এবং চাষাবাদ সম্পর্কে প্রচারণার অভাবে চাষ কম হয়।
ভিনদেশি রসালো ফল উৎপাদনের খবরে প্রতিদিন তার ক্ষেত দেখতে আসছেন আশপাশের কৃষকরা। কেউ কেউ আগামীতে এ ফল উৎপাদনের জন্য পরামর্শও নিচ্ছেন নাঈমের কাছ থেকে।
রোববার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে নাঈমের ক্ষেত্রে গিয়ে দেখা যায়, তিনি তার সাম্মাম ক্ষেত পরিচর্যা করছেন। কুমড়া গাছের মতো লতানো গাছ। গাছের ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে গোল গোল ফল। প্রায় প্রতিটি গাছেই ভরপুর ফল। বাঁশের বাতা আর পলিথিনের জালের ফাঁকে ফাঁকে পুরো ক্ষেত যেনো ফলে ভরে রয়েছে। ছোট কুমড়ার আকারের সাম্মাম ফলের ভেতরটা দেখতে ও খেতে বাঙ্গির মতো।
নাঈম বলেন, কলেজ বন্ধ, তাই বাড়িতে অবসর সময় কাটাচ্ছিলাম। বিদেশ থেকে ভাই ফোন দিয়ে এ সাম্মাম চাষ করার সম্পর্কে বললেন। আমি ইউটিউব থেকে এটি কীভাবে চাষ করে সেটা জানলাম। পরে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ নিয়ে বগুড়ার একটি খামার থেকে এ ফলের চারা সংগ্রহ করি। সেই সঙ্গে সেখানে গিয়ে চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
নাঈম আমাদের দেখে নতুন এ ফল সম্পর্কে বলেন, সাম্মাম ফল খুবই পুষ্টি সমৃদ্ধ। বহির্বিশ্বে এ ফলের চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশে এটির প্রচলন এখনো কম। এ ফলকে সৌদিতে সাম্মাম বলে, তবে বিভিন্ন দেশে এটি রক মেলন, সুইট মেলন, মাস্ক মেলন, হানি ডিউ নামেও পরিচিত। সাম্মামের দু’টি জাত রয়েছে। একটি জাতের বাইরের অংশ সবুজ আর ভেতরের অংশ লাল, আরেকটি জাতের বাইরের অংশ হলুদ এবং ভেতরের অংশ লাল।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..