এসকে রাসেলঃ
রাজধানীর সাভার কাউনদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার গৃহবধূ আলেয়া বেগম তার স্বামীর বিরুদ্ধে পরকিয়া প্রেমের পর অন্য নারীকে বিয়ের অভিযোগ করেন,এবং অত্যাচারের স্বীকার হয় বলে জানান।
ভুক্তভোগী আলেয়া বেগম গত ২৮/০২/২০০৮ ইং সাভার আমিন বাজার এলাকার মোঃআজিজ শেখ এর ছেলে মোঃছাদেক হোসেনের সাথে উভয় পক্ষের পরিবার সহমতে ১লক্ষ ৫০হাজার টাকা কাবিন ধার্য করে বিবাহ সম্পূর্ণ করেন।
ছেলে পক্ষের চাহিদা অনুযায়ী যৌতুক হিসেবে ঘরের সম্পূর্ণ ফার্নিচার, চেয়ার,টেবিল, সোকেস এমনকি বাসার পানির ট্যাংক পর্যন্ত প্রায় ১লক্ষ ৭০হাজার টাকার মালামাল কিনে দেয়, অথচ ভুক্তভোগী আলেয়ার বক্তব্য মতে সেই ঘরেই ঠাঁই নেই তার।
অতঃপর বিয়েতে সকলের সম্মতি থাকায় এক কন্যা সন্তান নিয়ে ঠিক ভালভাবে চলছিল তাদের সংসার,কিন্তুু কয়েক বছর যাবত স্বামী ছাদেক ভুক্তভোগী স্ত্রীর কাছে বিভিন্ন ভাবে যৌতুক হিসেবে আরও ৩লক্ষ টাকা দাবী করে অত্যাচার শুরু করে,ভুক্তভোগী স্ত্রী একপর্যায়ে তার পরিবারকে জানালে তার পরিবার মেয়ের সুখের কথা ভেবে দুই লক্ষ টাকা কর্য করে তার চাহিদা পূরণ করেন, সেখানেও থেমে থাকে না ছাদেক আবার কিছুদিন পরপর নতুন কোন বাহানায় টাকা দাবী করতো স্বামী ছাদেক,এ ক্ষেত্রে আলেয়া বেগমের শাশুড়ী ছিল মহত্ত্ব ভূমিকায়।
তারপরেও সয্য করে এক মেয়ে নিয়ে ভালোই ছিলো আলেয়া বেগম,কিন্তুু হটাৎ আলেয়া বেগমের শাশুড়ী মৃত্যু বরণ করার পর তার স্বামীর আরও পরিবর্তন দেখতে পায় আলেয়া,পরকিয়ায় প্রেমে যরিয়ে যায় ছাদেক “, আলেয়া বুজতে পারলে তার উপর চলে পার্শবীক নির্যাতন, নির্য়াতনের স্বীকার হয়ে কয়েকবার গুরুতর আহত হয়ে হসপিটালে যেতে হয় আলেয়ার,এ বিষয়ে আলেয়া তার স্বামীর পরিবারকে যানালে তারা পাত্তা না দিয়ে উল্টো তার উপর নির্যাতনে যুক্ত হয়,এতে অংশ নেয় স্বামী ছাদেকের বোন ও ভাগিনীরা এবং নানা ভাবে আহত করে ভুক্তভোগীকে।
এমতাবস্থায় কিছুদিন পরেই আলেয়া বেগমকে কোন প্রকার তালাক নামা বা ডিভোর্স নোটিস না দিয়েই তার অজান্তেই স্বামী ছাদেক এর সম্পর্কৃত সোনিয়া নামের এক মেয়েকে বিয়ে করেন এবং এতে সম্মতি দেয় তার পরিবার ও বিয়েতে সাক্ষী দেয় তারই ভাগিনী জামাই মনির’, এবং স্ত্রী আলেয়া ও তার কন্যাকে যোরপূর্বক তার বাবার বাসায় পাঠিয়ে দেয়, সব প্রকার ভরনপোষণ অস্বীকার করে এবং গত তিন বছর (যাবত)। আলেয়া ও তার সন্তানের কোন প্রকার খরচ বহন করে না।
প্রথম স্ত্রী আলেয়া কে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করার বিষয় সম্পর্কে স্বামী ছাদেক হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ‘আমি আমার প্রথম স্ত্রী আলেয়া বেগমকে ডিভোর্স দিয়েছি,বিষয়ে সাভার আমিন বাজার ৬নং ওয়ার্ড ইউনিয়ন পরিষদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে সাভার আমিন বাজার ৬নং ইউনিয়ন পরিষদের প্রত্যয়নপত্রে উল্লেখ আছে যে, মোঃছাদেক হোসেন,পিতাঃমৃতঃআজিজ শেখ এর নিকট হতে আমিন বাজার ইউনিয়ন বেগুনবাড়ী ৬নং ওয়ার্ড বসবাসরত আলেয়া বেগম,পিতা মোহাম্মদ আলী
নামে কোন ডিভোর্স পেপার অত্র আমিন বাজার ইউনিয়নদে পাওয়া যায়নি,এবং এ সম্পর্কৃত সকল তথ্য মিথ্যা ও বানোয়াট।
এমতাবস্থায় স্বামীহীন জীবন ও বাবাহীন সন্তান হয়ে খুবই কস্টে জীবনযাপন করছে আলেয়া ও তার সন্তান।