নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মোঃ খায়রুল আলম, বাড়ী কুমিল্লার দেবিদ্বারে প্রজাপতি গ্রামে। ঢাকায় ছোট খাটো ব্যবসা করে। স্ত্রী মুন্নী আক্তার ও তিন ছেলে ( তামিম,তাসিন,তাজিম) নিয়ে ঢাকায় সূত্রাপুরে থানার পিছনে থাকতো। ২৭/১২/২০১৫ সালে তাহারা ভালোবেসে কাজী অফিসে নিজেরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের তিন মাস পরেই তাদের প্রথম সন্তান কনসেপ্ট করে। পরবর্তীতে জমজ সন্তান হয়। এরপরই তার স্ত্রী সংসারে ঝগড়া বিবাদ শুরু করে এবং মোবাইলে আসক্ত হয়ে দেশে বিদেশে বিভিন্ন ছেলেদের সাথে কথা বলে আর্থিক সুবিধা নেয়া শুরু করে। খায়রুল কাজে আসার পরই বাচ্চাদের ঘরে রেখে বিভিন্ন মানুষের সাথে ঘুরতে যেতো। একপর্যায় সে খায়রুলকে হুমকি দেয় তার সাথে সংসার করবে না। ২০২২ সালের রমজানের আগে ১ সপ্তাহ, ১টি সন্তান নিয়ে নিখোঁজ থেকে আবার ফিরে আসে। পরবর্তীতে সে প্রায়ই সন্তানদের ঘরে রেখে বাহিরে যেতো। এ নিয়ে কথা বললে সে খায়রুলকে বলে আমার চাহিদা মোতাবেক টাকা দিতে না পারলে তাহার যা ইচ্ছা তাই করবে।খায়রুর কোনো বাধা দিতে পারবে না। সন্তানদের স্বার্থে খায়রুল সবকিছু সহ্য করতে বাধ্য হয়। প্রায়ই খায়রুল কাজ শেষে সন্ধ্যায় বাসায় গিয়ে তাহাকে পেতো না। তিনটি অবুঝ শিশুকে টিভি ছেড়ে দিয়ে ঘরে রেখে যেতো। মাঝে মাঝে তার বোনের বাসার কথা বলে ১টি বাচ্চা নিয়ে চলে যেতো। ওর বোনদের কাছে জিজ্ঞেস করলে বলতো আমরা জানিনা পরবর্তীতে সূত্রাপুর থানায় জিডি করি। জিডি নং-১১৭
তারিখঃ ০৩/১২/২০২৩। পুলিশ তার নাম্বার ট্রাকিং করে তাহাকে চিটাগাং পাহাড়তলি পায়। ঐ সময় মুন্নী একটি ডিভোর্স নোটিশ পাঠায়।
পরবর্তীতে তার দুলাভাই ইব্রাহিম খলিল তাহার নিজ বাসা পেকুয়ায় নিয়ে যায়। ইব্রাহীম খলিল মুন্নীর বড় বোনের দ্বিতীয় স্বামী। মেজো বোনও দ্বিতীয় স্বামীর সাথে থাকে। খায়রুল পেকুয়া গিয়ে তার বোন জামাইর বাসা থেকে মুন্নী আক্তারকে নিয়ে আসে । ঐ সময় খায়রুলের বাসা থেকে যাওয়ার সময়, কাপড় চোপড়, ২ বাচ্চা, ৪ ভড়ি স্বর্ণালংকারসহ নগদ ১৮০০০০/ টাকা নিয়ে যায়। ২০২৩ সালের ২৪ তারিখ মুন্নী খায়রুলের ঘরে ফিরে আসলে এসব জিজ্ঞেস করলে বলে টাকা খরচ হয়ে গেছে, স্বর্ণালংকার বোনের কাছে। বাচ্চাদের স্বার্থে এসব মেনে নিয়ে পুনরায় খায়রুল সংসার শুরু করে এবং বলে তোমার কোনো কাজে বাধা দিব না তবুও সংসারটি টিকিয়ে রাখো। কিন্ত কে শুনে কার কথা? ২০২৪ সালের জানুয়ারির ২২ তারিখ। ২ বাচ্চা, ( তাসিন, তাজিম) এবং ঘড়ে রক্ষিত খায়রুলের ব্যবসার নগদ ৪৮০০০০/ টাকা ও ঘরের মালামাল বাসা শিপটের কথা বলে মুন্নী চলে যায়।খায়রুল তার আত্মীয় স্বজনকে রিং দিয়ে জানতে চাইলে তারা অস্বীকার করে। উপায়ন্তর না দেখে খায়রুল ২৬/১/২০২৪ তারিখ সূত্রাপুর থানায় জিডি করে যার নং ১১২২ তাং ২৬/১/২০২৪। এর পরে মুন্নী আক্তার ২৩ /১/২০২৪ ডিভোর্স দেয় যা খায়রুলের বাবা এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে রিসিভ করে। খায়রুলের বড় ছেলে তার গ্রামের বাড়ী দাদীর কাছে অন্য দুই ছেলে মুন্নী নিয়ে গেছে যার সাথে দেখা করতে না পেরে খায়রুল পাগল প্রায়।