জানা যায়, মৃত নান্দুমির ১১বছর ধরে এই গ্রামে বসতবাড়ি করে আছে । নান্দুমির( ৫৫) ৭নং নায়েকপুর ইউনিয়নের আলমশ্রী গ্রামের মৃত সামছু মিয়ার ছেলে।
সকাল আনুমানিক সময় ৬ ঘটিকা নান্দুমির এর বাড়িতে ছাগল বাওয়ানোর জন্য ছাগল নিয়ে আসে একই গ্রামের সুনই মিয়া( ৪৫) নান্দুমির বাড়িতে, ডাকাডাকি করে কোনো নড়া শব্দ না পাওয়া দরজায় ধাক্কা দিলে, দরোজা খুলে যায় , এমন সময় দেখতে পান সুনই মিয়া ।
নান্দুমির ফাঁসিতে ঝুলে আছে, তার স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে , তার ডাক চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে দেখে থানা পুলিশকে খবর দেন ।
মা-বাবার মৃত্যুর ঘটনা রেখে যাওয়া সন্তান অপূর্ব (৮) ও লাবনী আক্তার (৬) বলেন ,রাতের খাবারের শেষে মা-বাবা মাটিতে শুয়ে যায় আমরা দুই ভাইবোন খাটে শুয়ে ঘুমিয়ে যাই ।সকালে লোকজনের চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে দেখি মা-বাবা দুজনেই মরা লাশ ।
এবিষয়ে জানতে চাইলে তিয়শ্রী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুদ্দিন আহমেদ বলেন, লোকে মুখে শুনে ঘটনাটি দেখতে এলাম ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মদন থানা অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস আলম বলেন ,লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে, এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে, এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে । তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনির হোসেন বলেন , সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ টিম এসেছে , অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই ও সিআইডি কেউ জানানো হয়েছে , তদন্ত অব্যাহত রয়েছে । দ্রুতগতিতে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটিত হবে।