রাসেল চৌধুরী
রাত পোহালেই ঈদ। শেষ মূহুর্তের ভোগ্যপণ্য কিনতে বাজারে ভিড় ক্রেতাদের চট্টগ্রাম সহ সারা দেশের মানুষ। তবে, ঈদ পূর্ব রাতেও স্বস্তি মিলছে না চট্টগ্রামের ভোগ্যপণ্য বাজারে। ঈদ উপলক্ষে বেড়েছে সেমাই, দুধ ও মসলার দাম। সংকট কাটেনি চিনির। এছাড়া পেঁয়াজের বাজারও গত এক সপ্তাহ ধরে চড়া। অন্যদিকে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে আগেই। সর্বশেষ সরকার এক লিটার ভোজ্যতেলের দাম ১৩৯ টাকা থেকে ১৪১ টাকা নির্ধারণ করে দেয়।
ঈদ পূর্ব মুহূর্তে যা পাওয়া যাচ্ছে তা কিনছেন হচ্ছে চড়া দামে নেহায়েত অপারগতায়। উৎসবতো বুঝে না দেশের জনগনের পকেটের অবস্থা আবার উৎসবকে পুঁজি করে ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফা করছে বলে অভিযোগ ভোক্তাদের।
গতকাল চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট ও আগ্রাবাদ চৌমুহনী কর্ণফুলী মার্কেটের মুদি দোকানগুলোতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রতি কেজি বাংলা লাল সেমাই বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোড়কজাত লাচ্ছা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা থেকে ১৭০ টাকায়। আবার বাজারে সাধারণ সেমাইয়ের চেয়ে লাচ্ছা সেমাইয়ের চাহিদা বেশি। গত বছর ২০০ গ্রামের এক প্যাকেট ৪৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বেড়ে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। সেমাইয়ের পাশাপাশি দাম বেড়েছে তরল ও গুঁড়ো দুধের। লিটারের তরল দুধের ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। কনডেন্সমিল্কের দামও বেড়েছে। বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়। অপরদিকে ডানো এবং মার্কস ব্র্যান্ডের গুঁড়ো দুধ কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গিয়ে এখন বিক্রি যথাক্রমে ৫৮০ এবং ৬৪০ টাকায়। বিভিন্ন ব্রান্ডের ঘি বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১১শ থেকে ১২শ টাকায়।
অন্যদিকে কিসমিস প্রতিকেজিতে ২০ টাকা বেড়ে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়।
এছাড়া সাদা মটরের দাম কেজিতে ২ টাকা বেড়ে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। চীনা বাদাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা এবং বড় সাইজের প্রতিটি নারিকেল বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এছাড়া ম্যাগী ১২ পিসের প্রতিটি ম্যাগী নুডুলসের বঙ বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। অন্যদিকে এক সপ্তাহ ধরে বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। বর্তমানে ৫ টাকা বেড়ে গিয়ে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এছাড়া লিটারপ্রতি সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪১ টাকায়।
এদিকে ঈদ পূর্ব রাতে চট্টগ্রাম চিনির সংকট প্রকড় আকার ধারণ করেছে। হঠাৎ করে রাত ১০ দিকে চিনি বিক্রী হচ্ছে ১৫০ কেজি দামে।
সদরঘাট থানার সামনের টং দোকানদার হাশেম জানান, সকালে চিনি কিনলাম ১৩০ টাকা কেজি দামে। ঈদের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর রাত ১০ টার দিকে সেই চিনি কিনতে হল ১৫০ কেজি দামে।
লালখান বাজারের মতিঝর্ণা একাকার দোকানদার ফয়েজ সওদাগর জানান, গত কয়েকদিন ধরে ঈদের কিছু অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম বাড়তি। চিনির সংকট ও চরম। তাই ঈদ পূর্ব বাজারে দাম জিনিষ পত্রের দাম বেশী আমাদেও বিক্রি করতে হচ্ছে বেশী দামে।
পেশাজীবী জালাল বলেন, প্রতি বছর ঈদের আগের রাতে আমাদের কিছু অত্যাবশ্যকীয় পণ্য কিনতে হয় এবার সেই পর্ণের দাম বেশী হওয়াতে আমাদের মত মধ্যবিত্তদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy