আসমা বেগম নগরীর প্রেসক্লাব এলাকার চা বিক্রেতা মিলন মিয়ার স্ত্রী তাদের দুই ছেলেমেয়ে রয়েছে। তারা মুলাটোল এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকে।
আসমার স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সকালে মিলন মিয়া শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে জানান, আসমা আত্মহত্যা করেছেন। এরপর থেকে মিলন পলাতক। খবর পেয়ে আসমার স্বজনরা এসে ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়।
পরে কোতোয়ালি থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আসমার বাবা গোলাম মোস্তফা গোলাপ বলেন, ‘১৫ বছর আগে মেয়েটার বিয়ে দিয়েছি। সে কখনও শান্তি পায়নি। দুই ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ দিতো না মিলন। সে মুলাটোল এলাকায় এক নারীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়ায় লিপ্ত। বিষয়টি জানাজানি হলে তাকে বহুবার বুঝিয়েছে আসমা। কিন্তু মিলন কারও কথা শোনেনি। আসমাকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) হোসাইন আলী বলেন, আমরা সুরতহাল করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠাচ্ছি। ময়নাতদন্তে বেরিয়ে আসবে প্রকৃত ঘটনা। এছাড়া পলাতক মিলন মিয়াকে আটকে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে একটি মামলার প্রস্তুুতি চলছে।