কাজী মোতাহার হোসেন,
স্বামী-স্ত্রীর একে অন্যকে যে ৪টি কথা বলা উচিত না
ঝগড়ার সময় স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে এমন অনেক কথা বলে ফেলে যার জন্য পরে অনুশোচনা হয়। কথার আঘাত বড় আঘাত। সামান্য একটি ভুল বাক্যই আপনাদের মধুর সম্পর্কে ফাটল ধরাতে পারে। আবার ভালো সময়েও সেই কথাগুলো আপনাদের মন খারাপ করিয়ে দিতে পারে।
কারণ কাছের মানুষের কাছ থেকে তিক্ত কথা ভোলা সম্ভব হয় না সহজে। আবার একসঙ্গে থাকতে গেলে মতের অমিল হবেই। তাই ঝগড়াঝাটি হলেও কিছু কথা কখনোই একে অপরকে বলবেন না-
তুমি এত স্বার্থপর কেন?
অনেক সময় আপনার মনে হতে পারে স্বামী বা স্ত্রী আপনাকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না বরং তার নিজের প্রয়োজনগুলোই সব সময় গুরুত্ব পায়। আপনার পছন্দমতো কাজ না করলে তাকে দোষী মনে হতে পারে।
যদি সে সত্যিই স্বার্থপরের মতো আচরণ করে থাকে তবুও তাকে এই কথা বলতে যাবেন না। তাকে সরাসরি স্বার্থপর বললে তার অন্যান্য ভালো গুণগুলো ঢাকা পড়ে যাবে।
তাই সঙ্গীর স্বার্থপরতা সম্পর্কের ক্ষতি করছে বলে বিশ্বাস করার যদি যথেষ্ট বৈধ কারণ থাকেও তবু ঝগড়ার সময় তাকে স্বার্থপর বলে অভিযুক্ত করার চেয়ে শান্তভাবে এ বিষয়ে কথা বলা ভালো।
তোমাকে বিয়ে করাটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল!
প্রায় প্রতিটি বিবাহিত দম্পতি তাদের জীবনের কোনো না কোনো সময়ে তাদের বিবাহ সম্পর্কে বিরক্তি প্রকাশ করে। ঝগড়ার সময় এধরনের কথাগুলোই সম্পর্ক আরও তিক্ত করে তুলতে পারে। এটি কিন্তু যেনতেন অভিযোগ নয়! বরং বিয়ের মাধ্যমে যে আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এটি তাই প্রকাশ করে।
তোমার চাকরির চেয়ে আমার চাকরি গুরুত্বপূর্ণ
প্রেম, বিশ্বাস, শ্রদ্ধা এবং নির্ভরযোগ্যতা বিয়ের চারটি স্তম্ভ। যখন একটি স্তম্ভ দুর্বল হয়ে যায়, সম্পর্ক নড়বড়ে হয়ে পড়ে। শ্রদ্ধা সম্পর্কের অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান। যখন একজন স্বামী বা স্ত্রী বলে যে সে তার সঙ্গীর চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে,
তখন সে বিবাহিত ক্ষেত্রে তার স্বামী / স্ত্রীর ভূমিকা এবং অবদানকে কেবল অসম্মান করে না, পাশাপাশি শ্রেষ্ঠত্বও দেখায়। প্রতিটি কাজ অনন্য এবং সম্মানিত। আপনি যখন বলেন যে আপনি আরও
গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন (সম্ভবত আপনি আরও বেশি উপার্জন করছেন বা পেশাগতভাবে আরও সফল) তখন আপনি আপনার সঙ্গী কতটা আঘাত পান তা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।
তোমার মাকে আমি পছন্দ করি না
বিয়ের পরে নতুন জীবন এবং আত্মীয়দের সাথে সামঞ্জস্য করা অনেকটা কঠিন কাজ। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে সম্পর্ক খারাপ হতেই পারে। এমনকী তাদের অনেককে আপনি অপছন্দ করতেই পারেন। তাই বলে রাগের মাথায় ‘আমি তোমার মাকে ঘৃণা করি’ বা
‘আমি তোমার বাবাকে ঘৃণা করি’- এ ধরনের কথা বলতে যাবেন না যেন! আমরা সবাই বাবা-মাকে ভালোবাসি, তাই না? তাই সঙ্গীর মা-বাবার সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করলে তা বৈবাহিক সম্পর্কে অশান্তি বয়ে আনবে।