ডেস্ক: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি ও পদায়ন করা হয়েছে। রোববার পরিচালক (প্রশাসন) ডা. শেখ মোহাম্মদ হাসান ইমাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) ব্যক্তিগত সহকারীসহ (পিএস) কর্মরত এ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি ও পদায়ন করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, দীর্ঘদিন ধরে বেশ কিছুসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন যারা দীর্ঘদিন ধরে মূল পদের বিপরীতে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে অধিদপ্তরের বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘদিন একই পদে চাকরি করার কারণে তাদের অনেকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, সম্প্রতি অধিদপ্তরের বিভিন্ন বিভাগের মূলপদের বিপরীতে কতজন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন, তার তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেন শীর্ষ কর্মকর্তারা। যার পরিপ্রেক্ষিতেই এই বদলি বা পদায়ন।
প্রাথমিকভাবে যে ৭ জনের বদলি ও পদায়ন হলো-
স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের (ডিজি) ব্যক্তিগত সহকারী (মূলপদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা) মো. শাহজাহান ফকিরকে জাতীয় নাক কান ও গলা ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শূন্যপদে বদলি ও পদায়ন করা হয়েছে।
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের (প্রশাসন) ব্যক্তিগত সহকারী মো. আজিজুল হককে (মূলপদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা) তার অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। তিনি মূল পদে কাজ করবেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে বদলি ও পদায়ন করা হয়েছে।
অধিদপ্তরের পরিচালক অর্থের ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানকে স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর কৃষ্ণ কুন্ডুকে অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রশাসনের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। পরিচালক পরিকল্পনা ও গবেষণার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে পরিচালক প্রশাসনের ব্যক্তিগত সহকারী (মূল পদ স্টেনোটাইপিস্ট) মো. আব্দুল মজিদ চৌধুরীকে। এছাড়া পরিচালক হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কামরুল হাসানকে তার সংযুক্তির আদেশ বাতিল করে তাকে মূলপদের কর্মস্থলে বহাল করা হয়েছে।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ড্রাইভার মালেকের দুর্নীতির ঘটনার পর অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা নড়েচড়ে বসেন। জানা গেছে, পর্যায়ক্রমে আরও অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অভ্যন্তরীণ কিংবা অন্যত্র বদলির সম্ভাবনা রয়েছে।