তৌহিদ আহমেদ রেজা: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে শুদ্ধি অভিযানের অংশহিসেবে ডজনখানেক কর্মকর্তাকে পর্যায়ক্রমে বদলি করা হচ্ছে। কিন্তু কী কারণে তাদের বদলি করা হচ্ছে সেই তথ্যসহ বদলিকৃতদের বিষয়ে জানতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে দুদক। দুদকের পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে গঠিত টিমের পক্ষ থেকে বুধবার এই চিঠি দেয়া হয় বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, বদলি কোনো শাস্তি নয়। দুর্নীতি করলে ব্যবস্থা নেয়া হল দায়িত্ব। আমরা বদলির কারণসহ এ বিষয়ে তথ্য চেয়েছি। তিনি বলেন, বদলিকৃত একজন কর্মকর্তা দুদকে অভিযোগ করেছেন- সত্য বলার কারণে তাকে বদলি করা হয়েছে। সে কারণে বদলির প্রকৃত কারণ আমরা খুঁজে দেখতে চাই।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, শুধু বদলির মাধ্যমে যেন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি চাপা পড়ে না যায়।
সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চলতি সপ্তাহে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক পরিচালকসহ চার কর্মকর্তাকে সরানো হয়েছে। রদবদল হয়েছে সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের বদলিকৃত পরিচালকের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা ও কেনাকাটায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তার নাম ডা. ইকবাল কবির। তিনি বর্তমানে আইসোলেশনে থাকায় কারো সঙ্গে কথা বলছেন না। দুদকের অনুসন্ধানেও ডা. ইকবাল কবিরের নাম উঠে এসেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি দিয়ে দুদক ইকবাল কবিরের যাবতীয় তথ্য চেয়েছে।
পিপিই ও এন-৯৫ মাস্ক কেনাকাটায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদক থেকে শুরু হওয়া অনুসন্ধান টিম পুরো স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির সামগ্রিক একটি চিত্র তুলে আনতে চায় বলে জানা গেছে।
দুদক পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে চার সদস্যের টিম এ নিয়ে কাজ করছে। এ ছাড়া কয়েকটি সরকারি হাসপাতালে কেনাকাটায় হরিলুটের ঘটনা অনুসন্ধান ও তদন্তের সঙ্গে আগে থেকেই যুক্ত রয়েছেন দুদক পরিচালক কাজী শফিকুল আলম ও তার নেতৃত্বাধীন টিম।