জেষ্ঠ প্রতিবেকঃ
রাজধানী ঢাকা মহানগর উত্তরের আদাবর থানার ৩০ নং এর একাধিক বাসিন্দা একই ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়কঃ জাহিদ রহমান জন এর অন্যায় অত্যাচার আর জুলুমের স্বীকার বলে খবর পাওয়া গেছে।
সূত্র বলছে, ওই এলাকার মাদকচক্রের মূল হোতা জাফর নামের এক দলপল্টিবাজের হাত ধরে জাহিদের বেড়ে ওঠা, চাদাঁবাজি মাদক কারবার আর ছিনতাইয়ের কারনে জাফর সহ জুতার মালা গলায় পরা সহ এলাকাবাসীর কাছে লাঞ্চিত হয়েছেন একাধিকবার, এমন জুতার মালা গলায় পরিহিত ছবি স্যোসাল মিডিয়ায় ঘুরপাক খেয়েছে বেশ কিছু দিন। একাধিক মাদক আর ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে ঢাকার বিভিন্ন থানায়।এসব দায় এড়াতে তার এক বড় ভাইয়ের জোড় তদবিরে বাগিয়ে নিয়েছেন ৩০ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক পদটি।দলিয় পদ আয়ত্বে আনার পরে জাহিদের বেপরোয়া গতি যেনো বেড়ে গেছে আরো বহুগুণে।
বেশ কিছু দিন আওয়ামী দুঃশাসনে এলাকায় কোণঠাসা থাকলেও ২০২৪ এর জুলাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামীলীগের পতন হলেই নড়েচড়ে বসেন জাহিদ গং দের, এলাকায় চাদাঁবাজি জুলুম আর অত্যাচারের গতি বেড়ে যায় দুর্বার গতিতে।
নির্মাণাধীন ভবন, ইটাবালুর গদি ফুটপাতের দোকান সহ বিভিন্ন আওয়ামীলীগ সমর্থকদের জিম্মি করে চাঁদাবাজি মামলাবাজি এখন তার নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।তার এসব কর্মকাণ্ড এখন তার পরিবার কিংবা রাজনৈতিক অভিভাবকদেরও আওতার বাইরে।
তার নির্যাতন থেকে তার নিজ দলিয় সংগঠনের কর্মিরাও নিস্তার পায়নি বলেও জানা গেছে।
জাহিদের অমানবিক নির্যাতনের শিকার তার সংগঠনের সদস্য রং-মিস্ত্রি রাকিব বলেছেন যে, রাকিব কোনো এক মালিকের নির্মাণাধীন ভবনে রং-এর কাজের বকেয়া বিল পাওনা থাকায় তার সহযোদ্ধার কাছে বিষয়টি বলেন, তিনি বিষয়টি জাহিদের কাছে বল্লে, জাহিদ ওই বাড়ীর মালিকের কাছ থেকে পাওনা লক্ষাধিক টাকার মধ্য থেকে ২৫.০০০/=টাকার ব্যাংক চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে রাকিবকে ১০.০০০/=টাকা দিয়ে বাকী ১৫.০০০/=টাকা নিজেই নিয়ে যান, জাহিদ ১৫.০০০/=টাকা কেনো নিবে জানতে চাইলে তাকে বেধড়ক মারপিট করেন, বিষয়টি থানার যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদের কাছে জানতে চাইলে তাকেও অপমান করেন এবং থানার নেতাদের কাছে জানানোর কারনে রাকিবকে ডেকে নিয়ে আবারো মারধোর করেন।
এ যেনো, “মার খেয়ে কান্না করলে, কান্না থামানোর জন্য আবারও মার খাওয়া”।
জাহিদের আরো অত্যাচারের বর্ণনা পাওয়া যায় অত্র এলাকার অতিষ্ঠ এক গৃহবধূ ডালিয়ার দায়ের করা, সেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তর এর সভাপতি ও সংশ্লিষ্ট থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এর কাছে করা অভিযোগ সূত্রেঃ অভিযোগে ডালিয়া উল্লেখ করেন, জাহিদের নির্মম অত্যাচার আর হুমকির কথা, অভিযোগটি নিম্নে হুবহু তুলে ধরা হলোঃ “তাং-২৯/০১২/২০২৪
বরাবর,সভাপতিঃ স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তর, ২৮/১ নয়াপল্টন, ঢাকাবিষয়ঃ অভিযোগ প্রসঙ্গে।
১!জাহিদ রহমান জনঃ আহ্বায়ক ৩০ নং ওয়ার্ড, স্বেচ্ছাসেবক দল, আদাবর থানা ঢাকা মহানগর উত্তরঃ
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী ডালিয়াঃ স্বামী-বজলুর রহমান বিপুল, শুনিবিড় হাউজিং, আদাবর থানা ঢাকার একজন বাসিন্দা, বিগত দিনে সাংসারিক জীবনে আমার স্বামীর সহিত বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সম্পর্কের অবনতি হলে বিষয়টি সংসার ছিন্ন (তালাক) হয়ে যায়, তখন আমি ২ সন্তানের সংসার জীবন নিয়ে অসহয় হয়ে পরলে বিষয়টি মিমাংসার জন্য স্থানীয় মুরুব্বী, মাতব্বরদের দারস্থ হই, সেই সূত্রে জাহিদ রহমান জনঃ আহ্বায়ক ৩০ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দল আদাবর থানা ঢাকা মহানগর উত্তর এর সহিত পরিচয় হয়, তিনি আমাদের স্বামী স্ত্রীর বিরোধ মিটিয়ে সংসার জীবন ফিরিয়ে দেবার দায়ভার গ্রহন করেন। বিগত ২৭/১০/২০২৪ ইং তারিখ এ আমাদেরকে তার বন্ধুবান্ধব সংগে নিয়ে পুনরায় আদাবরস্থ হক সাহেবের গ্যারেজ নামক স্থানের কাজী অফিসে নিয়ে গিয়ে পুনরায় আমার স্বামী বিপুলের সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেন, তখন আমার স্বামী বিপুল, জাহিদের হুমকিধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনে বাধ্য হয়ে নগদ ২০০০০০/= (দুই লক্ষ) টাকা প্রদান করেন, জাহিদ সেই টাকা থেকে আমাকে ৮০,০০০/= টাকা দিয়ে বাকী ১,২০,০০০/= জোড়পুর্বক নিয়ে যায়,তারপরে আমার স্বামীকে জিম্মি করে আবার ৫০,০০০/= টাকা, মদের বারে নিয়ে ৪৮,০০০/= বন্ধুদের নিয়ে রেস্তোরায় খাবার জন্য ৭,০০০= সেনাবাহিনীতে মটরসাইকেল আটকের বাহানায় ২,০০০/= টাকা সহ বিভিন্ন বাহানায় বিভিন্ন সংখ্যক টাকা নেয়, শুধু টাকা পয়সা নিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি, জাহিদ আমাকে প্রতিনিয়ত অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্যেও চাপ দিতে থাকে, তার এমন আর্থিক চাহিদা বা অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে ব্যার্থ হলে আমার সংসার, স্বামীর ব্যাবসা বাণিজ্য সহ আমাদের অস্তিত্ব বিলিন ও অনবরত জানে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়ে আসছে।
আমি আমার স্বামী-সন্তান সহ এলাকা ছেড়ে মানবেতর জীবন জাপন করছি সেই সাথে আমার স্বামী-সন্তান সহ, জাহিদের দ্বারা জীবননাশেরও আশংকায় আছি।
অতএব, আপনার সমীপে আমার আকুল আবেদন, উপোরোল্লিখিত বিষয়গুলো তদন্ত সাপেক্ষে জাহিদ রহমান জন – গংদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগরে সত্যতা যাচাই করে, দোষী প্রমান হলে দলীয়ভাবে তাদের উপযুক্ত সাস্তি প্রদানে আপনার মর্জি কামনা করছি।
বিনীত নিবেদকঃ ডালিয়া, মোবাঃ 01944115847, শুনিবিড় হাউজিং, আদাবর থানা ঢাকা
অনুলিপিঃ আহ্বায়কঃ স্বেচ্ছাসেবক দল আদাবর থানা ঢাকা মহানগর উত্তর।
এ বিষয় জানতে চাইলে এই প্রতিবেককে, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহনগর উত্তরের সভাপতিঃ শেখ ফরিদ আহ্ম্মেদ, সাধারন সম্পাদকঃ মহাসিন সিদ্দিক রনি ও সংশ্লিষ্ট থানার আহ্বায়কঃ রফিকুল ইসলাম মৃধা বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্ত ব্যাক্তি দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে আমরা দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহন করবো।
জাহিদ রহমান জন এর মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।