রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর প্রতিনিধিঃ
সড়কে আলোর দিশারী ফেরালেন রসিক মেয়র মোস্তফা ড্রেনসহ তিনটি সড়ক আরসিসি (কংক্রিট) ঢালাই দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এসব ছোট-বড় সড়ক নির্মাণের ফলে জনগনের চলাচলে স্বস্তি ফিরে এসেছে। যানবাহনও চলাচলে কোন ব্যতয় ঘটছেনা। সড়কে যেনো আলোর দিশারী ফেরালেন নগর অভিভাবক। আধুনিক নগর গড়ে তুলতে বিরামহীন প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছেন সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। জানা গেছে, জাহাজ কোম্পানীর মোড় থেকে পশ্চিম দিকে বেড়ে যাওয়া দেওয়ান বাড়ি ব্রীজ পর্যন্ত সড়ক, গোলাম মোস্তফা টেইলার্স এর পাশের সড়ক ও মিষ্টি বিপনী পুষ্টি’র মোড় থেকে হাড়িপট্টি হয়ে লোহাপট্টি সড়কের সংযোগ সড়কগুলো ছিল কার্পেটিং করা সরু রাস্তা। কালের বিবর্তনে রাস্তাগুলোর কার্পেটিং উঠে খানা-খন্দ আর জায়গায় জায়গায় গর্তে পরিণত হয়ে উঠায় মানুষজনের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল। আরও খারাপ অবস্থা দেখা দিয়েছিল জাহাজ কোম্পানি মোড় থেকে দেওয়ান বাড়ি সড়কে। দেওয়ান বাড়ি অনেকটা পুরান ঢাকার চকবাজারের মতো। শহরের প্রধান পাইকারি ও খুচরা বিক্রির হাজারো দোকান এই বিশাল এলাকায়। সড়কের এক পাশ দিয়েই রিকশা ও ইজিবাইকগুলো ধুঁকে ধুঁকে চলতে দেখা যায়। ফুটপাত বলে কিছু ছিল না, বৃষ্টি হলে হাঁটুপানি জমে ছিল। বর্ষা এলেই জলাবব্ধতার দৃশ্য ছিল চোখে পরার মতো মাত্রাছাড়া। রিকসা, বাইসাইকেল, অটো রিকসার চালক, যাত্রী সাধারণের ভোগান্তি ছিল নিত্য নৈমেত্তিক ব্যাপার। ভারি যানবাহন চলাচলের কথা তো ভাবাই যায়নি। উন্নয়নের দীর্ঘসূত্রতায় সড়কগুলোর এই দুর্গতির জট নগরবাসীর ভোগান্তি ও অসন্তুষ্টির প্রধান কারণ হয়ে উঠেছিল। লোকজন এর ভেতর দিয়ে কোনো রকমে চলছিল। এক পাশ দিয়ে একটি-দুটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও রিকসা যাতায়াত ছিল কোন রকমে। সিটি করপোরেশনের সাবেক শাসকরা মানুষজনের চলাচলের পথ সুগম করতে বারং বার নিয়েছিল সংস্কারের উদ্যোগ। এমন কি সাবেক মেয়র প্রয়াত সরফুদ্দিন আহমদ ঝন্টু প্রসস্থ করে সড়ক নির্মাণের টেন্ডার আহবান করেন। পরবর্তীতে সড়কের দুই পাশের ব্যবসায়িরা স্ব-স্ব দোকানের সম্মুখভাগ ভাঙার কাজে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান। রাস্তার দুই পাশে ড্রেন করার কাজ শুরু করলেও দোকানদারদের বাঁধারমুখে সড়ক নির্মাণ কাজ আলোর মুখ দেখেনি। শহরের ভেতরের চার লেনের জন্য প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা জাহাজ কোম্পানি মোড়ের শত শত দোকানপাট, অফিসের পুরোনো ভবন ভাঙা হয়েছিল। বিদ্যুতের খুঁটি সরানো হয়েছিল। কিন্তু শেষতক মামলা-মোকদ্দমায় অনেক দিন কাজ আটকে ছিল। টানা প্রায় বছর চারেক চলেছে এই ভাঙচুরের কাজ। বিগত ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ভোটারদের কাছে সড়ক ও যানজটের বিষয়টি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তৎকালিন সময়ে ভোটের বাজারে বর্তমান মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাও সড়ক নির্মাণের প্রতিশ্রæতি দিয়েছিল। ওই নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে সড়ক উন্নয়নে দৃঢ় প্রত্যয়ে পথচলেন তিনি। থমকে ছিল প্রায় দুই বছর সড়ক উন্নয়ন কার্যক্রম। জনগনের সুফল বয়ে আসেনি। পরবর্তীতে সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বিশ^ ব্যাংকের অর্থায়নে সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় (২০১৯-২০২০) অর্থ বছরে ১৬ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সড়ক ও ড্রেন নির্মাণের একটি প্যাকেজ ভিত্তিক টেন্ডার আহবান করেন।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy