নয়ন, দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি : দিনাজপুরে প্রতারনার মাধ্যমে হজ গমনেচ্ছুকদের ৪৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা আত্মসাত করার অভিযোগে ঢাকা এমএইচএম ওভারসীজ ট্রাভেল এন্ড হজ্জ এজেন্সির স্বত্তাধিকারী মজিব হোসেন মিরাজ (৬০) ও তার পুত্র পরিচালক ইলিয়াস মিয়া (৩৮) কে জেলা কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন দিনাজপুর (সদর) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত-১ এর বিচারক শিশির কুমার বসু।
আদালতে দায়েরকৃত মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে বাদী আব্দুল্লাহ আল হাবিব ১৮ জনের কাছে অর্থ সংগ্রহ করে জনতা ব্যাংক দিনাজপুর কর্পোরেট শাখার মাধ্যমে এমএইচএম ওভারসীজ ট্রাভেলস এন্ড হজ্জ এজেন্সির মাধ্যমে (যার লাইসেন্স নং-এইচ এল ১০২০) ৪৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা পাঠান। চুক্তি মোতাবেক এই ১৮ জন এই এজেন্সির মাধ্যমে হজে পাঠানো হবে। হজ্জ গমনচ্ছুকদের রেজিষ্ট্রেশন করা হয় ২০১৭ সালে। যার ট্রাকিং নিবন্ধন ক্রমিক নম্বর ১ হতে ১৮ পর্যন্ত। এসব হাজি নিজ খরচায় নিবন্ধন ও পাসপোর্ট সম্পন্ন করেন। এজেন্সির স্বত্তাধিকারী ও পরিচালক ১৮ জন হাজিদের জানান, ২০১৮ সালেই তাদের হজ্জ করার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। ২০১৮ সালে ঢাকায় হাজি ক্যাম্পে গিয়ে দেখা যায় এ ১৮ জন হাজির কোন বিমান ভাড়া করা হয়নি।
হজ্জ গমনচ্ছুকদের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল হাবিব এ বিষয়ে এমএইচএম ওভারসিস ট্রাভেলস এন্ড হজ্জ এজেন্সিতে গিয়ে দেখে অফিসে তালা বন্ধ। বার বার ফোন করেও মালিক ও পরিচালককে পাওয়া যায়নি। পরে প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল হাবিব এ ব্যাপারে হজ্জ গমনেচ্ছুকদের সাথে আলোচনা করে ওই এজেন্সির স্বত্তাধিকারী মজিব হোসেন মিরাজ ও পরিচালক ইলিয়াস মিয়ার বিরুদ্ধে দিনাজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলি আদালত-১ এ প্রতারনা ও অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়ের করে। মামলা নং-সিআর ৩১৪/২০১৯, ধারা-৪২০/৪০৬/৪৬৮/৫০৬(ওও)/৩৪ দঃবিঃ।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দিনাজপুর জেলা পিবিআইকে তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেন। পিবিআই এর তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মোঃ মনিরুল ইসলাম তদন্ত করে মজিব হোসেন মিরাজ ও ইলিয়াস মিয়া হজ্জ গমনেচ্ছুক প্রার্থীদের সাথে প্রতারনা করে ৪৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা আত্মাসাত করেছে মর্মে প্রাথমিক ভাবে সত্যতা প্রমানের প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন।
দিনাজপুর কোতয়ালী থানার মুন্সিপাড়া মহল্লার আলহাজ্ব মেহেরুল ইসলামের পুত্র বাদী আব্দুল্লাহ আল হাবিব জানান, এমএইচএম ওভারসীজ ট্রাভেল এন্ড হজ্জ এজেন্সির মালিক মজিব হোসেন মিরাজ ও তার পুত্র ইলিয়াস মিয়ার সাথে ১৮জন হাজিকে হজের পাঠানোর চুক্তি হয়। এজেন্সির মালিককে ৪৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা দেয়ার পর তিনি ও তার পুত্র আত্ম গোপন করেন। উক্ত দুই জনের বাড়ী ঢাকার ৩৭ নয়া পল্টনে। তাদের স্থায়ী বাড়ী সফরিয়া, থানা-শিপপুর, জেলা-নংসিংদি। বাদী পিতা পুত্রের প্রতারনা ও অর্থ আত্মসাতের জন্য আসামীদের বিচার দাবী করেন।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy