হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক আওয়ামীলীগ নেতা পিস্তল দেখিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে উপজেলার ১১নং বাঘাসুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন আহমেদ উরপে ঝাড়ু মিয়া। এ বিষয়ে মাধবুপর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের রূপনগর গ্রামের সৈয়দ মোঃ সেলিম মিয়ার ছেলে আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ মোঃ জুয়েল বঙ্গবন্ধু একাডেমির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি বাখরনগর এলাকায় একটি পেট্রোল পাম্প করার জন্য কিছু জমি ক্রয় করেন। গত ২০ এপ্রিল সৈয়দ জুয়েল ও তার লোকজন জমিতে কাজ করার জন্য গেলে বাঘাসুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাবেক উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শাহাব উদ্দিন আহামেদ উরপে ঝাড়ু মিয়া তার লোকজনসহ পিস্তল ও একটি গান মেশিন নিয়ে জুয়েল কে কাজ করতে বাধা দেয়। এ সময় দু পক্ষের মধ্যে বাকতিন্ডতার সৃষ্টি হলে চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন পিস্তল দেখিয়ে জুয়েলকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। নিজেকে আত্মরক্ষা করতে জুয়েল থানায় ফোন করলে তাৎক্ষনিক পুলিশ এসে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
সৈয়দ জুয়েল এই প্রতিবেদককে জানান, আমি একটি পেট্রোল পাম্প করার জন্য কিছু জমি ক্রয় করি। চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন আহমেদ কোম্পানীর জমি বলে আমাকে কাজ করতে বাধা দেন। সময়মত পুলিশ না এলে তিনি আমার উপর গুলি ছুরতেন। তার সাথে থাকা লোকজনের হাতেও দেশীয় অস্ত্রসহ একটি মেশিন গান ছিলো। তিনি আরও জানান, তিাকে চাঁদা না দিয়ে আমি কেন এই এলাকায় জমি রাখলাম। এখানে কাজ করতে হলে তাকে নাকি ২০ লাখ টাকা দিতে হবে, না হয় তিনি মাদক মামলা দিয়ে আমাকে জেল কাটাবেন। তার এই অত্যাচারে দীর্ঘ ২০ বছর যাবত এই ইউনিয়নের মানুষ অতিষ্ঠ। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
সৈয়দ জুয়েল আরও জানান, থানায় অভিযোগ দেয়ার পর থেকে তিনি আতংকে দিন কাটাচ্ছেন। যেকোন সময় চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন মিথ্যে মাদক মামলা দিয়ে ফাসাতে পারে। এব্যাপারে তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছেন।
জমিতে করতে আসা হুমায়ুন মিয়া নামে এক ব্যক্তি জানান, আমরা জমিতে কাজ করছিলাম। চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন লোকজন নিয়ে বাধা দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে আমাদের উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে বাঘাসুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন আহামেদ জানান, আমি তাকে হুমকি দেইনি। জায়গা নিয়ে বিরোধ আছে।
মাধবপুর থানার কর্মকর্তা (তদন্ত ) আমিনুল ইসলাম জানান, চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিনের নামে একটি অভিযোগ করেছেন সৈয়দ জুয়েল নামে এক ব্যক্তি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply