হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের বেজুড়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পাভেল নামে এক ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে। এই হত্যার ঘটনায় স্হানীয় চেয়ারম্যান মাসুদসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে জগদীশপুর ইউনিয়নের বেজুড়া গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বাড়ি ঘর ভাংচুর ও তাদের স্বজনদের উপর হামলা করে ফলশ্রুতিতে উভয় পক্ষের প্রায় ৫০ জন আহত হয়।গুরুতর আহত পাভেল মিয়া’কে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হলে সেখানে সে মৃত্যু বরন করে।
আহতদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা বারেক মিয়ার ছেলে মোর্শেদ মিয়া (৪৫), শফিক মিয়া (৪০) ও সোমা আক্তার (২৪) কে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেজুড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা বারেক মিয়ার সন্তানরা তাদের নামে রেকর্ডকৃত একটি জমি পিডিএল কোম্পানির প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম খান ও কুহিনূর আক্তার খানম এর নিকট বিক্রি করে দখল বুঝিয়ে দেন। পরবর্তীতে একই গ্রামের মাহমুদ আলীর পুত্র বজলু মিয়া, বলু মিয়া, মিজান মিয়া, সাজু মিয়া দলিল মূলে এই জমির মালিকানা দাবি করে স্থানীয় চেয়ারম্যান মাসুদ খান এর নিকট বিক্রি করেন।
শনিবার ৩রা ফেব্রুয়ারী সকালে পিডিএল কোম্পানির লোকজন এই জমিতে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করলে চেয়ারম্যান মাসুদ খান ও তার লোকজন বাধা প্রদান করেন। এরই জের ধরে চেয়ারম্যান এর লোকজন মুক্তিযোদ্ধা বারেক মিয়ার বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায়।
আহত শফিক মিয়া বলেন- গত জাতীয় সংসদ নিবার্চনে আমরা নৌকার পক্ষে কাজ করেছিলাম আর চেযারম্যান ও তার লোকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইদুল হক সুমন এর পক্ষে নির্বাচনী মাঠে কাজ করেছিলেন। নির্বাচনী প্রতিহিংসার সুত্র ধরে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলা করে। এতে স্হানীয় প্রেসক্লাবের একজন সাংবাদিক নেতার ইন্ধন রয়েছে। যে নাকি আগেও একটা কোম্পানির চাঁদাবাজি মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী।
মাধবপুর চুনারুঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নির্মলেন্দু চক্রবর্তী সুর্যোদয় কে জানান, হত্যার ঘটনায় ইউ’পি চেয়ারম্যান মাসুদ খানসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।