হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নে জনৈক এক প্রতিবন্ধী তরুণীকে সঙ্ঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগী ওই তরুণীকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।ভুক্তভোগী তরুণী হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার বড়ইউরি ইউনিয়নের কদুপুর গ্রামের বাসিন্দা। সে প্রায় মাসখানেক ধরে তার দুসম্পর্কের আত্মীয় নবীগঞ্জের দেওপাড়া গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল ওয়াহিদ ওরফে আব্দুল হাইর বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করে আসছিল।জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের দেওপাড়া বাজারস্থ যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল ওয়াহিদ ওরফে আব্দুল হাইর মালিকানাধীন পেয়ারা সুপার মার্কেটস্থ বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করে আসছিলেন ভুক্তভোগী ওই তরুণী। গত (২০ ডিসেম্বর) সোমবার বিকেলে সবজি আনতে বাসার নীচে সবজি বাগানে যায় সে।এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। সম্ভাব্য সকলস্থানে খোঁজাখুঁজি করে তার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছিলনা। গত মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) ভোরে হঠাৎ চিৎকার শুনে দৌঁড়ে গিয়ে গিয়ে ভুক্তভোগী তরুণীকে পাশ্ববর্তী একটি বাড়ির উঠানে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল ওয়াহিদ ও তার স্ত্রী। পড়ে তাকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে আসেন।ভুক্তভোগী ওই তরুণী জানান, সোমবার সন্ধ্যার আগে সবজি আনতে বাসার নিকটবর্তী সবজি বাগানে যান তিনি। হঠাৎ স্থানীয় চায়ের দোকানদার ইব্রাহিম তার মুখ বেঁধে সিএনজিতে করে নিকটবর্তী একটি পাহাড়ে নিয়ে যায়, পরবর্তীতে রাতে দেওপাড়া গ্রামের আজিজুর রহমান চৌধুরীর মালিকানাধীন মোরগের ফার্মে নিয়ে গিয়ে ইব্রাহিম, আজিজুর রহমান চৌধুরীসহ ৩ জন তাকে পালাক্রমে সংঙ্ঘবদ্ধ ভাবে রাতভর ধর্ষণ করে এবং মারধর করে। পরদিন ভোরে ইব্রাহিম তাকে বাসার সামনে ফেলে পালিয়ে যায়।যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল ওয়াহিদের স্ত্রী জানান, ধর্ষণের শিকার তরুণী কানে কম শুনে, সোমবার বিকেলে সবজি আনতে গিয়ে ওই তরুণী নিখোঁজ হয়। পরদিন ভোরে চিৎকার শুনে ওঠে ওই তরুণীকে পাশ্ববর্তী বাড়ির ওঠানে পড়ে থাকতে দেখি পরে তাকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে আসি। সে কোথায় ছিল জানতে চাইলে, ওই তরুণী তার সাথে ঘটে যাওয়ার পূর্ণাঙ্গ ঘটনা আমাদের খোলে বলে, বিষয়টি আমরা প্রশাসনকে অবগত করি।এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই রুবেল আহমেদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই তরুণীকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ইব্রাহিম ও আজিজুর রহমান চৌধুরীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ডালিম আহমেদ বলেন, বিষয়টি অবগত হয়ে প্রথমে গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ইতিমধ্যে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং এ ব্যাপারে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে, অভিযোগের আলোকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।