তাজ চৌধুরী,দিনাজপুর ব্যুরো:
প্রবীণরা হয়তো ভুলেই গেছেন, আর নবীনদের বেশিরভাগতো জানেই না দিনাজপুরে জন্ম নিয়েছিলেন কিংবদন্তি কৃষক নেতা হাজী মোহাম্মদ দানেশ। তার বাড়ি বা তার মাজার কোথায় তাও জানা নেই অনেকের।অপরদিকে, দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে অবহেলা আর অযত্নে পড়ে আছে এ ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলনের নেতা হাজী মোহাম্মদ দানেশের মাজারটি। এই মাজার চত্বরে নেই কোনো সাইন বোর্ড কিংবা নাম ফলক। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবে জঙ্গলে পরিণত হয়েছে মাজার চত্বরটি। অনেক সময় এ চত্বরে ঘটছে অসামাজিক কার্যকলাপ।রাজনীতিক এই প্রাণ পুরুষের এক ছেলে তিন মেয়ের মধ্যে ছেলে ফারুক দানেশ ও দুই মেয়ে ইতোমধ্যে মারা গেছেন। এক মেয়ে সুলতানা রেদওয়ানা রানু (৭২) শারীরিকভাবে অসুস্থ।দিনাজপুরের তথা বাংলাদেশের রাজনীতিক গৌরব, পাক-ভারত উপমহাদেশের বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা, ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলনের কিংবদন্তি প্রখ্যাত কমিউনিস্ট নেতা, ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হাজী মো. দানেশ। যে নামটি মেহনতি, মুক্তিকামি, শোষিত মানুষের অনুপ্রেরণার প্রতিক। সেই কিংবদন্তিতুল্য এই মানুষটি শুধু দিনাজপুর নয়, এই নেতা দিনাজপুরের গণ্ডি পেরিয়ে সারা দেশ তথা সারা উপমহাদেশে শোষিত ও নির্যাতিত মানুষের মুক্তির প্রতীক হিসেবে আবির্ভুত হোন। এই রাজনৈতিক নেতার নামে দিনাজপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও গ্রামের বাড়ি বোচাগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর গ্রামে রয়েছে একটি কলেজ।এতটুকুতে সন্তুষ্ট নন তার পরিবারের সদস্যরা ও দিনাজপুরের মানুষ। এই জেলার মানুষের দাবি মহান এই নেতার মুরাল স্থাপন করার।বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) যুগ্ম মহা সচিব শাহাদৎ হোসেন শাহ বলেন, এই মহান নেতার নামে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দেশ বরেণ্য এই নেতার জন্ম কিংবা মৃত্যু বাষির্কী কোনোটাই পালন করে না। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নেই কোনো ভাস্কর্য। তিনি আরো বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন পিএইচ ডি করছেন অনেকে। কিন্তু যার নামে এ প্রতিষ্ঠান তাকে নিয়ে কেউ কোনো গবেষণা করছে না। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে হাজী দানেশের ভাস্কর্য স্থাপনের দাবি জানান। হাজী মোহাম্মদ দানেশের নাতি ঠাকুরগাঁও সদরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান ফেরদৌস ক্ষোভ প্রকাশ করে