বিশেষ প্রতিবেদক
হাজী মোহাম্মদ সেলিম একজন বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সমাজ সেবক। পারিবারিক ভাবেই সমাজ সেবার মহান ব্রত যার রক্তে মিশে আছে। যিনি শুধু কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। ঢাকা-৭ আসনের আপামর জনসাধারনের ভাল-মন্দের ভাবনাগুলো তিনি নিজের কাধে তুলে নিয়েছেন আপন মহিমায়। স্বভাব সুলভ ভাবেই সমাজ সংস্কারের গুরুদায়িত্ব পালন করে চলেছেন অবিরতভাবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী হাজী সেলিম সব সময় নিঃস্বার্থভাবে জনগণের পাশে থেকে “মনিব নয় ভৃত্যে হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন”।
ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী সেলিম একজন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ব্যক্তিত্ব। একাধারে তিনি একজন শিল্পপতি, রাজনীতিক, সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী। এমনি একজন স্বনামখ্যাত মানুষ। হাজী সেলিম সদা কর্মচঞ্চল, মানবদরদি ও দানশীল ব্যক্তিত্ব। যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাহায্যের হাত বাড়ানো এবং অসহায় মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে একজন উঁচুমাপের সমাজসেবক হিসেবে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন।
হাজী সেলিম আওয়ামী লীগের জন্য নিবেদিত প্রাণ। তিনি দলের ক্রান্তিকালে শেখ হাসিনার প্রতিটি নির্দেশ পালনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে চেষ্টা করেছেন।
প্রসঙ্গত, সত্তর দশকের শেষ দিকে মদিনা ট্রেডিং দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন হাজি মোহাম্মদ সেলিম এমপি। সিমেন্টই ছিল তার মূল ব্যবসা। পরবর্তীতে নাম লেখান প্লাস্টিক, পলিব্যাগ, শিপিং, ফল, আবাসনসহ বিভিন্ন ব্যবসায়। মদিনা গ্রুপের অধীনে গড়ে তোলেন এক ডজন প্রতিষ্ঠান। এসব ব্যবসা সামলানোর পাশাপাশি সক্রিয় থেকেছেন রাজনীতিতেও।
১৯৭৮ সালের দিকে হাজি সেলিম মদিনা ট্রেডিং করপোরেশন নামে সিমেন্টের ব্যবসা শুরু করেন। পুরান ঢাকার বাদামতলী ঘাটে বড় বার্জে করে সিমেন্ট আনতেন তিনি। ঘাটের আশপাশে ওই সিমেন্ট সরবরাহ করতেন। সিমেন্টের ব্যবসা থেকে পরে গড়ে তুলেন সিমেন্টের কারখানা। প্রতিষ্ঠা করেন মদিনা সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড ও মদিনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড। পর্যায়ক্রমে ব্যবসার অন্যান্য শাখায়ও যুক্ত হন হাজি সেলিম। গড়ে তোলেন মদিনা পলি ফাইবার লিমিটেড, মদিনা মেরিটাইম লিমিটেড, মদিনা ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড, মদিনা পলিমার ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড, মদিনা পাম্প অ্যান্ড ফাউন্ড্রি, মদিনা হিমাগার, মদিনা ফ্রুটস লিমিটেড, ফ্লিট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, বিসমিল্লাহ নেভিগেশন এবং এমএমআর (বাংলাদেশ)-এর মতো প্রতিষ্ঠান।
মদিনা গ্রুপ মূলত পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন গুলশান আরা সেলিম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাজি মোহাম্মদ সেলিম। উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে রয়েছেন হাজি সেলিম দম্পতির বড় ছেলে মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম।
ব্যবসায়ী হাজি সেলিম রাজনীতিতে নাম লেখান ৯০ দশকে। ১৯৯৪ সালে তিনি ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৬৫ ও ৬৬ নম্বর দুটি ওয়ার্ড থেকে কমিশনার নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে নির্বাচন করেন। ঢাকার লালবাগ, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানা নিয়ে গঠিত নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে হাজি সেলিম সংসদ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন। এর পর ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে তৃতীয় বারের মতো ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এ ব্যবসায়ী।
স্থানীয় নেতা-কর্মী এবং আওয়ামীলীগ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা ৭ আসনের বারবার নির্বাচিত এমপি হাজী সেলিম দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয় মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থাকার কারণে সবার ভালবাসা তিনি বরাবরই পেয়ে এসেছেন। পুরান ঢাকার স্থানীয় জনগণ ভালবেসে তাকে বলে, লালবাগের মাটি ও মানুষের নেতা। লালবাগ এলাকায় আওয়ামী লীগের যে কোন সভা সমাবেশে সবচেয়ে বেশী জন সমাগম হয় হাজী সেলিমের মিছিল মিটিং-এ। ব্যক্তি হাজী সেলিম ত্যাগী রাজনীতিবিদ হিসেবে সকল মহলে পরিচিত।
আওয়ামী লীগের বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড হিসেবে পরিচিত হাজী সেলিম দীর্ঘ যাবত রাজনীতি ও সমাজ সেবামূলক কাজে নিজেকে জড়িত রেখেছেন। ইতিমধ্যে রাজধানী গুরুত্বপূর্ণ এ আসনের রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক, গরিব, দুখিদের মন জয় করতে পেরেছেন।
হাজী সেলিম বিগত দিনে লালবাগবাসীকে জামায়াত-শিবিরের তান্ডব থেকে রক্ষা করতে তার কর্মীদের নিয়ে সব সময় রাজপথে বলিষ্ঠ থেকেছেন। লালবাগের ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ ও আওয়ামী লীগের সকল নেতা কর্মীরা তার নেতৃত্বে সংগঠিত। তিনি দিন রাত সব সময় নেতা কর্মীদের বিপদে ছুটে যান।
বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে জানা যায়, ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী সেলিম আওয়ামী লীগ ও জনগণের জন্য নিবেদিত একজন নেতা। একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে নিয়ে অপপ্রচার কাম্য নয়।