
কাইয়ুম মাহমুূদ
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল গোলচত্বরে বাসা বাড়িতেই চলছে রমরমা দেহ ব্যাবসার হিড়িক ।
হাটিকুমরুল গোলচত্বরের উল্লাপাড়া রোডস্থ মাছের আড়ৎ এর পুর্বপাশে চড়িয়া শিকার উত্তর পাড়া মোঃ বাদুল্লাহ শেখের ছেলে চাঁ বিক্রেতা মোঃ হায়দার আলীর (৪৫) এর নতুন বাসা বাড়িতে বাড়ির মালিক হায়দার আলীর তত্ত্বাবধানে দীর্ঘদিন ধরে দেহব্যবসা চালিয়ে আসছে একটি চক্র ।
আর এ চক্রের মূল হোতা চড়িয়া শিকার আকন্দ পাড়া গ্রামের মোঃ জুরান আলী আকন্দ ওরফে ( হোটকার ) ছেলে মোঃ হযরত আলী আকন্দ (৩৮)।
জানাযায় ,উল্লাপারা বাস স্ট্যান্ডের চা দোকানী হায়দার আলীর বাসায় দীর্ঘদিন ধরে হযরতের মাধ্যম দিয়ে টাঙ্গাইল সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে দেহব্যবসায়ীদের তার নতুন বাড়িতে এনে দেহব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ।
আবার খদ্দেরের আনার জন্য রয়েছে হরিনচড়া এলাকার বাদুকুষা গ্রামের ইউছুফ আলী আকন্দের ছেলে আব্দুল আজিজ আকন্দ (৪০) ।
গত বুধবার রাতে সরেজমিনে ঐবাড়িতে গিয়ে দেখা যায় , সাপুরে সাথী (৩৫), শিউলি(মনিশা)(৪০) , আদুরী (২১)ও মিস্টি(১৬) দালাল আজিজ আকন্দ ও চড়িয়া কালিবাড়ি গ্রামের মৃত আলহাজ্ব আলীর ছেলে মনিরুল (২২) ও হারেজ আলী এর ছেলে রানা (২৮) সহ আরও দুই খদ্দের কে ।
মনিরুল ও রানা জানায় , আব্দুল আজিজের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দুজন ছয়শত টাকার চুক্তিতে যৌনকর্ম করতে এ বাসায় এসেছে । যৌনকর্মী আদুরী ও মিস্টি জানায় , হযরতের মাধ্যমে তারা টাঙ্গাইল থেকে কয়েক সপ্তাহ আগে এ বাসায় এসেছে এবং শিউলীর ও সাথীর মাধ্যমে তারা দেহ ব্যবসার কাজ করে এবং খদ্দের আনার কাজ হযরত ও শিউলীর কথিত স্বামী আজিজ করে থাকে ।
বাড়িওয়ালা জরিত কিনা জানতে চাইলে তারা জানান , একটু আগেই সে এখান থেকে বেড় হয়ে গেছে । আজিজ ও হযরত হায়দারের কথায় চলে। আর কিছু বলার থাকলে হায়দারকে গিয়ে বলবেন ।
এ ব্যাপারে হযরতের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার হলে তিনি প্রতিবেদক কে জানান, আমি ধাঁন কাঁটতে তারাশ এসেছি আমি গিয়ে আপনাদের সাথে কথা বলব আপনারা যেন নিউজ না করেন আপনাদের যা করার করব ।
বাড়ির মালিক ও দেহব্যবসার নেপথ্যে নেতা হায়দার আলীর ছেলে বাবু ড্রাইভার বলেন , আমার বাবা বাসা ভাড়া দিয়েছে এখন বাসায় কে কি করল সেটা আমাদের বিষয় না ।আমি বাহিরে আছি এসে আপনাদের সাথে কথা বলব । আমার বাবা ভুল করতে পারে আমার সম্মান আছে আপনাদের নিউজ করার দরকার নেই । আমি এসে আপনাদের ব্যবস্থা করব ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন হায়দার নতুন বাড়ি করার পর থেকেই বিভিন্ন মহিলা দিয়ে তার বাসায় দেহব্যবসা চালিয়ে আসছে ও এলাকার পরিবেশ নস্ট করছে এলাকার উঠতি বয়সী ছেলেরা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ।
হায়দার এর বাজে স্বভাব ও তার স্ত্রী ঝগড়াটে হওয়ার কারনে এলাকাবাসী চুপচাপ থাকে ।
এভাবে চলতে থাকলে যুবসমাজ ধংস্ব ও কিশোর অপরাধ বেড়ে যাবে । এখন এলাকার সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে । এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের দাবি হায়দার সহ এর সাথে জড়িত দের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে ।
এ বিষয়ে সলঙ্গা থানার ওসি তদন্ত হুমায়ন কবির জানান, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..
rate is 16 per 100, 000 nolvadex