রেখা মনি,নিজস্ব প্রতিবেদক
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের আরাজি শেখ সুন্দর গ্রামের প্রভাবশালী তালুকদার পরিবার ও হাবিবুল্লা পরিবারের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘদিনের। গত শনিবার ভোরে হাবিবুল্লা পরিবার তালুকদার পরিবারের দখলে থাকা ভুট্টাক্ষেত নষ্ট করে ফসল নিয়ে যায়।
পুলিশ খবর পেয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং ঘটনাস্থল থেকে হাবিবুল্লা’র ছোট ভাই ছায়েদুর রহমান (৪০) কে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করেন। এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের আরাজি শেখ সুন্দর গ্রামের এসএ ১০৯ খতিয়ান ভুক্ত জমির ১৮১ দাগের ৩৫৬ বাটাভূক্ত ৮ একর ১০ শতাংশ জমির দখল নিয়ে ওই দুই পরিবারের দ্বন্ধ চলে আসছে।
এ নিয়ে কয়েক দফায় সংঘর্ষ ও একাধিক মামলাও রয়েছে। বর্তমানে তালুকদার পরিবারের দখলকৃত ওই জমি কয়েকটি পরিবার বর্গাচাষ নিয়ে তাদের দখলে রেখেছে।
এবার ওই জমিতে ভুট্টার চাষাবাদ করেছে। কিন্তু গত শনিবার ভোরে হাবিবুল্যাহ পরিবার কয়েক শতাধিক লোকজন জমি দখলে নিয়ে ভুট্টা ক্ষেত নষ্ট করে ফেলে।
ফলে ওই জমির বর্গাচাষীরা ফসল হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পরেছে। অপর দিকে জমি দখলের খবর পেয়ে পুলিশ ভোরেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং ঘটনাস্থল থেকে ছায়েদুর রহমান (৪০) নামে একজনকে আটক করেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় থানায় আবুল কালাম আজাদ তালুকদার বাদী হয়ে হাবিবুল্লা কে প্রধান আসামী করে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক আরও ১৫০/২০০ জনকে আসামী করেন।
আব্দুল লতিফ তালুকদার বলেন, ৮ একর ১০ শতাংশ জমি পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে বর্গাচাষী দিয়ে চাষাবাদ করছি দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু হাবিবুল্লা পরিবার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভুট্টাক্ষেত নষ্ট করে ফেলে। এতে আমার বর্গাচাষীরাসহ আমার পরিবার ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
অপর দিকে হাবিবুল্লা বলেন, ওই জমি আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি। কিন্তু গত ২১ বছর আগে তালুকদার পরিবার জবর দখল করে নেয় । হাইকোটের রায় পেয়ে জমিটি আমরা দখলে নেই।
হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রাতের আধারে জমি দখলের চেষ্টা অনৈতিক, সংবাদ পেয়ে ভোরেই ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম পাঠানো হয়।
তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে জমি দখলদারদের ছত্রভঙ্গ করে একজনকে আটক করেন। শনিবার তাকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা রুজু হয়েছে।