তাজ চৌধুরী, দিনাজপর ব্যুরো: দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)’র মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মোস্তাফিজার রহমানকে গণবিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার প্রাপ্ত সম্মানী/পারিতোষিকের এক তৃতীয়াংশ বিশ্ব বিদ্যালয়ের কোষাগারে জমা দিতে বলেছে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মোস্তাফিজার রহমানকে দেয়া গত ১ সেপ্টেম্বর স্মারক নং-হাবিপ্রবি/সংস্থা:/৬৫৬৮ তে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অনুমোদনক্রমে রেজিষ্ট্রার (সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত) ডা. ফজলুল হক স্বাক্ষরিত এক পত্রে এই আদেশ দেয়া হয়েছে।
তবে এই চিঠি দেয়ার প্রায় দেড় মাস হয়ে গেলেও সেই অর্থ জমা দেননি শিক্ষক প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান। ওই শিক্ষক বলছেন- বন্ধের দিনে ছুটি নিয়ে ক্লাশ গ্রহণ করার পারিতোষিকের অর্থের এক তৃতীয়াংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারে জমা দেয়ার নিয়ম নাই, চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য অব্যাহতি পাওয়া ওই রেজিষ্ট্রারও বলছেন- চিঠিটি ভুলক্রমে দেয়া হয়েছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)’র কর্মকর্তা বলছেন- পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা প্রদান করলে সেখানকার পারিতোষিকের অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারে জমা দেয়ার নিয়ম রয়েছে।
গত ১ সেপ্টেম্বর দেয়া পত্রে বলা হয়-‘আপনার উপরে অর্পিত একাডেমিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কোন বিঘ্ন সৃষ্টি হবেনা এই শর্তে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটির দিনে আপনাকে ১৫.০৩.২০১৮ থেকে ৩১.০৮.২০২০ পর্যন্ত গণবিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রমে জড়িত থাকার অনুমতি প্রদান করা হয়। হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১ এর ৩৫(২)(ঙ) ধারা মোতাবেক আপনাকে উক্ত সময়ে প্রাপ্ত পারিতোষিকের এক তৃতীয়াংশ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারে জমা প্রদানের জন্য বলা হলো।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হাবিপ্রবি থেকে লিয়েনে সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজার রহমান। লিয়েনের মেয়াদ শেষ হলে তিনি হাজী মোহাম্মদ দানেশ এ যোগদান করেন।