চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: জোয়ার আসলে পানির নিচে তলিয়ে যায় বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। বাসা-বাড়ি, দোকানপাট, সড়ক এমনকি হাসপাতালও এখন পানির নিচে। যে দিকে চোখ যায় শুধু থৈ থৈ পানি।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) দুপুরের পর থেকে জোয়ারের পানি ঢুকতে শুরু করলে মাত্র এক ঘণ্টায় বিস্তীর্ণ এলাকায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। জোয়ারের পানিতে এখন তলিয়েই থাকছে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ-হালিশহরসহ আশপাশের পুরো এলাকা। এতে চরম ভোগান্তির শিকার মানুষ।
এদিকে, চতুর্থ দিনের মতো জোয়ারের পানিতে ডুবে যাওয়া মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ এলাকা। থৈ থৈ পানি। কোথাও হাঁটু সমান, আবার কোথা ও কোমর সমান পানিতে ডুবে আছে রাস্তা-অফিসসহ সব কিছু। এই দুরবস্থার মধ্যেই চাকরিজীবী ও নিত্যদিনের কাজ সারতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। অনেকের আবার বাসা-বাড়িতেও পানি।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বাসা থেকে বের হতে পারি না, চাকরিতে যেতে পারি না। নিজের জরুরি ব্যক্তিগত দরকারেও বাইরে যেতে পারি না। আরেক বাসিন্দা বলেন, কয়েকদিন পানি দুর্ভোগের কারণে বাঁচতেছি না। বাসাতেও ঢুকে যাচ্ছে পানি।
এদিকে চতুর্থ দিনের মতো জোয়ারের পানিতে তলিয়ে আছে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল। দুপুর ২টা বাজতেই পানি ঢুকতে শুরু করে হাসপাতাল চত্বরে। মুহূর্তের মধ্যে পুরো এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। হাসপাতাল গেইটের আধ কিলোমিটার আগেই রোগী এবং স্বজনদের গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে আসতে হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় রোগী এবং তাদের স্বজনদের।
এক ব্যক্তি বলেন, হাসপাতালের নিচ তলায় আমার বাচ্চাকে ভর্তি করিয়েছিলাম। কিন্তু নিচ তলায় ময়লা দুর্গন্ধ পানি ঢুকতেছে সেজন্য আমাদেরকে তিন তলায় তুলে দেওয়া হয়েছে। গত চারদিন ধরে নগরীতে তেমন বৃষ্টি না হলেও সাগর উত্তাল থাকায় জোয়ারের মাত্রা ছিল পার্শ্ববর্তী খাল এবং ড্রেনগুলোর ধারণ ক্ষমতার বেশি।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy