আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
নীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে শিক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এতে তুরস্ক ও সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত ছয় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দেশ দুটিতে এরই মধ্যে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।
সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত প্রাণ গেছে ৩২০ জনের এবং আহত হয়েছেন ৬০০ জনের বেশি মানুষ। অন্যদিকে তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওক্তাই জানিয়েছেন, সেখানে এখন পর্যন্ত ২৮৪ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন তারা। আহত হয়েছেন আরও ২ হাজার ৩২৩ জন।
হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে দুই দেশের কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সাইপ্রাস, লেবানন ও মিশরেও অনুভূত হয়েছে ভূকম্পন। এদিকে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল।
উদ্ধার ও যথাযথ ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোঁয়া। জরুরি সতর্কতা জারি করে আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছে আঙ্কারা।
এদিকে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে একটি ডিটেনশন সেন্টারে কিছু বাংলাদেশি রয়েছে। তাদেরসহ ওই এলাকায় কোন বাংলাদেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা তা খোঁজখবর নিচ্ছে আঙ্কারার বাংলাদেশ দূতাবাস। টেলিফোনে একথা জানিয়েছেন দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ওই এলাকায় এক বাংলাদেশি কর্মকর্তা রয়েছেন। তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা হচ্ছে।
মার্কিন ভূ-তাত্তিক জরিপ সংস্থার তথ্যমতে-ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল প্রায় ১৫ মাইল। স্থায়িত্ব ছিল এক মিনিটেরও বেশি। ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর অর্ধশত আফটার শক অনুভূত হয়। এরমধ্যে বেশ কয়েটির মাত্রা ছিল ৬ ।
একশ বছরের ভয়াবহ ভূমিকম্পে রাজধানী আঙ্কারাসহ কেঁপে ওঠে তুরস্কের অন্যান্য শহরও। মুহূর্তেই ধসে পড়ে অসংখ্য ভবন। ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়ে বহু মানুষ।
প্রথমে ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এরপর সময়ের সাথে হু হু করে বাড়তে থাকে প্রাণহানির সংখ্যা।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy