হোটেলে খেয়ে হাসপাতালে ৫০ জন!
মিজানুর রহমান মিজু নিজস্ব প্রতিবেদক: | ০৮ জুন ২০২১ | ৩:৪৮ অপরাহ্ণ
হোটেলে খেয়ে হাসপাতালে ৫০ জন!
FacebookTwitterShare
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে হোটেলের নিম্নমানের খাবার খেয়ে শিশু ও নারীসহ অর্ধশতাধিক অসুস্থ হয়ে পড়েছে। রোববার (৬ জুন) দুপুর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত পৌরসভার পঞ্চপীর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
Surjodoy.com
এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বলে এলাকা
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সরিষাবাড়ী পৌরসভার পঞ্চপীর বাজার এলাকার লালু মিয়ার দোকানে সকালে নাস্তা করতে যায় ওই এলাকার বেশকিছু মানুষ। দুপুরের পর থেকে তাদের পেট ব্যথা, বমি ও ডায়রিয়ার লক্ষণ দেখা দিলে গুরুতর অবস্থায় একে একে সবাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হতে থাকে। তাদের মধ্যে শিশু ও নারীর সংখ্যায় বেশি।
The Daily surjodoy
হাসপাতালে চিকিৎসারত রোগীরা হলেন- সুমি, আব্দুল আজিজ, ফাতেমা বেগম, লাল ভানু, হোসনে আরা, ইয়নুস মিয়া, মনির উদ্দিন, শাহাজাহান, স্বাধীন মিয়া, জাকির হোসেন, রাতুল, মার্জয়া, তামিম, মিষ্টি, রিয়া মনি, সাব্বির হোসেন, জুবাইর, আলম মিয়া, বিদ্যুৎ, আব্দুল হক, মজনু মিয়া, সিয়াম, আজিজুল, সিরাজ উদ্দিন, লাল মিয়া, জামিনুর, রাকিব মিয়া, ফাহাদ, ফরিদ মিয়া, তারা মিয়া, আশরাফ ফারুকী।
এছাড়াও গুরুতর অসুস্থদের জামালপুর সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
The Daily surjodoy
পঞ্চপীর এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা শিশু মিষ্টি ও তানিয়ার মা সুমি বেগম বলেন, আমার দুটি বাচ্চা তাদের দাদার সাথে লালুর খাবার হোটেল সকালে নাস্তা করতে যায়। নাস্তা খেয়ে বাড়িতে ফিরলে পেট ব্যথা, বমি ও ডায়রিয়া শুরু হয়। অবস্থা গুরুতর দেখা দিলে বাচ্চা দুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। নিম্নমানের ও পচা বাসি খাবারের কারণে এ অবস্থা দেখা দিয়েছে। সঠিকভাবে খাবারের দোকানগুলো দায়িত্ববান লোকেরা দেখাশোনা করলে এসব ঘটনা ঘটতো না।
The Daily surjodoy
এছাড়াও বাউসি থেকে চিকিৎসা নিতে আসা মজনু মিয়া, সিরাজ উদ্দিন, জামিনুর বলেন, লালুর দোকানে নিম্নমানের খাবার ছিল। রুটি ও ডাল খেয়ে বমি শুরু হলে হাসপাতালে আসি। এখানের সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছি না।
হোটেল মালিক লালু মিয়া বলেন, অনেক বছর ধরে হোটেল ব্যবসা করি। এরকম ঘটনা কখনও হয়নি। ময়দা ও তেল বাউসি বাজারের মুদি দোকানি বাসেদের কাছ থেকে ক্রয় করে এনেছি। সমস্যা হলে তার দোকানের পণ্যতে হতে পারে।
The Daily surjodoy
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফুল ইসলাম বলেন, দুপুরের পর থেকেই পেট ব্যথা, বমি ও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী আসতে থাকে হাসপাতালে। মধ্য রাত পর্যন্ত রোগী আসতেছে। তাদের সবাইকে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। খাবার নিম্নমানের বলে ফুট পয়জনের কারনে এটা হতে পারে বলে তিনি জানান।