হোসেনপুর থানায় প্রতিকার না পেয়ে ইজিবাইক চুরির ঘটনায় ইউএনও বরাবর অভিযোগ দায়ের
নিজস্ব প্রতিবেদক:
নিজস্ব প্রতিবেদক: অল্প আয়ের খেটে খাওয়া মানুষদের উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম এখন ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক। প্রতিদিন সারাদেশে লাখ লাখ ইজিবাইক চলে এবং খেটে খাওয়া মানুষরা এর মাধ্যমে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।
এই ইজিবাইক চালিয়ে সাধারন মানুষরা তাদের পরিবারের ভরন পোষন ও সন্তানদের লেখা পড়ার খরচও নিশ্চিত করে থাকে। ইজিবাইক সাধারনত খুব বেশি দুর পর্যন্ত সফর করে না। অল্প দুরুত্ব ও অধিক যাত্রী নিয়ে এর চলাচল। তবে বর্তমানে এই সাধারন ইজিবাইক চালকরা শঙ্কিত নিজেদের নিয়ে। হরহামেসাই শোনা যায় চুরি ও ছিনতাই হয়ে গেছে ইজিবাইক। এবার কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলায় ঘটে গেছে ভিন্ন এক ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চুরির ঘটনা। কয়েক মাস আগে ১ লাখ ৬২ হাজার টাকা দিয়ে ইজিবাইক কিনেছিলেন আব্দুস সাত্তার রুবেল।
এটিই ছিল তার পরিবারের আয়ের একমাত্র সম্বল। নিজের একমাত্র উপার্জনের সম্বলটুকু গত ২৮ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে চুরি যাওয়ায় বেশ হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন ভুক্তভুগী আব্দুস সাত্তার রুবেল। চুরি যাওয়া (অটোবাইক) বা ইজিবাইকের চেসিস নং-(YDAS1001133) কালার সবুজ, ব্যাটারির সংখ্যা-৫টি, চাকার সংখ্যা-৪টি, মূল্য-(১৬২০০০) টাকা। চুরি যাওয়ার পরপরই অটোবাইকের মালিক আ: ছাত্তার রুবেল বাদী হয়ে হোসেনপুর থানায় ১.মো. মাহফুজ মিয়া (৩২) পিতা মো. সবুজ মিয়া ২. রতন মিয়া (৫৩) ।
৩. সবুজ মিয়া ৪. সুজন মিয়া পিতা. অজ্ঞাত ৫. বোরহান (৪০) পিতা. হেলাল উদ্দিন সর্ব গ্রাম. হারেন্জা থানা. হোসেনপুর, জেলা, কিশোরগঞ্জের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ
দায়ের করিলে প্রাথমিক তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর ইজিবাইক চুরি চক্রের সদস্যকে আটক করে। হারেন্জা গ্রামের জৈনক সফিউদ্দিন সরকার বাচ্চুর মধ্যস্থতায় আটককৃত চক্রের সদস্য কে ছাড়িয়ে নেয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চুরি চক্রের সদস্যরা জানান পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁওয়ের ইজিবাইকটি বিক্রি করে দেন। ইজিবাইকের মালিক কে মূল্য বাবদ ১ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা প্রদান করা হবে বলে সমঝোতা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ৫০ হাজার টাকা এসআই রফিকুল ইসলামের হাতে দিয়ে আসে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা,এসআই রফিকুল ইসলাম ইজিবাইকের মালিক আব্দুস সাত্তার রুবেলকে ৪৫ হাজার টাকা প্রদান করে।
অবশিষ্ট টাকা ১৫ দিনের মধ্যে প্রদান করা হবে বলে সফিউদ্দিন সরকার বাচ্চু ভুক্তভোগীকে আশ্বস্ত করে।এরই মধ্যে কয়েক মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও অবশিষ্ট টাকা ও থানায় আইনি প্রতিকার না পাওয়ায় হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে ২৬ জুন ২০২১ তারিখে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী।
এ বিষয়ে আব্দুস সাত্তার রুবেল জানান কয়েক মাস আগে চুরি যাওয়া আমার ইজিবাইক থানা পুলিশের মাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায় ও আসামিদের আটক করা হয়েছিল। আটকের পর আমার ইজিবাইকের সমস্ত টাকা ফেরত দিবে বলে সমঝোতা হয়।
কিন্তু দুঃখের বিষয় এখন পর্যন্ত আমি তার কোনো প্রতিকার পাই নাই।ইজিবাইক চুরি যাওয়ার পর রুটি রোজগার না থাকায় আমি আমার পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি।
তিনি আরো বলেন এ বিষয়ে ইউএনও স্যারের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি আশাকরি ন্যায়বিচার পাব। মধ্যস্থতাকারী সফিউদ্দিন সরকার বাচ্চু জানান ইজিবাইকের মালিক কে ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে এবিষয়টি সমাধান করা হয়েছে। ইজিবাইক চুরির বিষয়টি নিয়ে মোবাইল ফোনে কথা বললে তদন্তকারী অফিসার এসআই রফিকুল ইসলাম চোর চক্রের সদস্যকে আটক ও ৪৫ হাজার টাকার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন এ বিষয়ে ওসি সাহেবের সাথে কথা বলেন।
এ ব্যাপারে হোসেনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোস্তাফিজুর রহমান জানান চুরি হওয়া ইজিবাইকের বিষয়টি কিভাবে সমাধান হয়েছিল আমার জানা নেই ।ভুক্তভোগী থানায় আসলে আইনগত ভাবে সহযোগিতা করা হবে।
এ বিষয়ে হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব রাবেয়া পারভেজের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি মোবাইল কোর্টে ব্যস্ত আছেন বলে জানিয়েছেন।
Leave a Reply