বিনোদন ডেস্ক: মডেল ও অভিনেত্রী নায়লা নাঈমের পশুপ্রেমী হিসেবে খ্যাতি আছে। এমনকি করোনাকালে রাস্তার কুকুরদের খাবার বিতরণ করে আলোচনায় এসেছেন তিনি। কুকুর-বিড়ালসহ যে কোনও আহত প্রাণীর চিকিৎসাও দিয়ে চলেছেন এই শিল্পী। আবার মুদ্রার উল্টো পিঠের মতো, একই কারণে হয়রানির শিকার হচ্ছেন এই তারকা। বিগত কয়েক মাস যাবত এর মাত্রা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছেন নায়লা। আর তাই এর বিরুদ্ধে শনিবার সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন এই শিল্পী। নায়লার অভিযোগ, তার বাসায় ৫ শ’ বিড়াল আছে বলে বেশ কিছুদিন ধরে বসবাসরত এলাকার সভাপতিসহ বেশ কয়েকজন অপবাদ দিয়ে আসছে। আর এজন্য প্রায় প্রতি সপ্তাহে পুলিশি হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে তাকে। নায়লা বলেন, ‘গত কয়েক মাস যাবত আমি মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। আমাদের সোসাইটির সহসভাপতিসহ বেশ কয়েকজন থানায় অভিযোগ করেন, আমার বাসায় ৫ শ’ বিড়াল আছে। যা নাকি তাদের জন্য হুমকিস্বরূপ। এজন্য প্রায় প্রতিদিন বাড্ডা থানা থেকে আমার নম্বরে ফোন দেয়। এমনকি পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারকে দিয়েও বেশ কয়েক বার ফোন দেওয়া হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে নানা ব্যবস্থার কথা বলা হয়। এই মাত্রা দিনকে দিন বাড়ছেই। আবার নানাভাবে আমাকে বলা হয়, আমি বিড়াল বেচাকেনার অবৈধ ব্যবসা করি। মূলত আমাকে বাড়ি ছাড়া করতেই এ ধরনের অভিযোগ হয়তো।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমাদের বিল্ডিংয়ে কিছু অংশে আইন বহির্ভূতভাবে নকশা করতে আসে। আমি তাতে বাধা দিয়েছিলাম। এরপর থেকে আমাদের সোসাইটির সহসভাপতি শহীদ সাহেব, ল্যান্ড ওনার হান্নান সাহেব আমার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। পুলিশসহ নানাভাবে আমাকে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। তারা দলবল নিয়ে যখন তখন আমার বাসায় আসতে চায়। এমনকি পার্কিংয়েও আমি আমার মোটরবাইকও চার্জ দিতে পারি না। বিষয়গুলো দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলেছে আমাকে। অসুস্থ বিড়াল-কুকুরকে সেবা দেওয়া তো খারাপ কাজ হতে পারে না। আমার বাসায় পশুপাখি থাকবে না মানুষ থাকবে- সেটা তো আমার বিষয়। তারপরও আমি দুই মাস সময় নিয়ে বলেছিলাম, কিছু বিড়াল দরকার হয় স্থানান্তর করব। কিন্তু তারা সে সুযোগও দেয়নি। সিটি করপোরেশন, বাড্ডা থানা, পুলিশের আইজি অফিসসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেছেন। আমি সবসময় এগুলো কম্প্রোমাইজ করেছি। তারা তা দুর্বলতা ভেবেছেন। এগুলো নিয়েই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি।’ তিনি জানান,শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মগবাজারের একটি রেস্তোরাঁয় বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চান। মডেলিংয়ে আলোচিত হলেও নায়লা একজন দন্ত চিকিৎসক। পশুপাখিদের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গেও কাজ করে আসছেন তিনি।