তৌহিদ আহমেদ রেজা: অস্ত্রোপচারের ১১ ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরেছে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের। তার শারীরিক অবস্থা এখন অনেক ভালো।
শুক্রবার সকালে হাসপাতাল সূত্রে এমনটা নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এর আগে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালের নিউরো ট্রমা বিভাগের প্রধান নিউরোসার্জন ও গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে তার মাথার ভাঙা হাড়ের ৭-৮ টুকরা অস্ত্রোপচারে জোড়া দিয়েছেন চিকিৎসকরা। আঘাতের কারণে আরো ছোট ছোট যে কাটা ছিলো সেগুলোও ঠিক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে অস্ত্রোপচার শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন জানান, ৬ সদস্যবিশিষ্ট চিকিৎসক দলের প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় ইউএনও ওয়াহিদার মাথার জটিল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। তবে ওয়াহিদার অস্ত্রোপচার শেষ হলেও ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ইউএনও ওয়াহিদা সেরে উঠবেন সে ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করা হলেও শঙ্কামুক্ত নন বলে জানান তিনি।
মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন বলেন, আমরা আশাবাদী কিন্তু এটা হেড ইঞ্জুরির ব্যাপার, তার মাথার ভেতর রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং ব্রেনে আঘাত লেগেছে। ব্রেনের ওপর একটা চাপ ছিল সেটা আমরা রিলিফ করেছি। তবে এখনই ক্লিয়ারলি আমরা বলতে পারবো না যে রোগী ভালো হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ইট উইল টেক টাইম। অন্তত ৭২ ঘণ্টা আমরা তার পরিস্থিতি অবজার্ভ করবো। আমরা আশাবাদী রোগী ভালো হয়ে যাবে, বাকিটা আল্লাহ ভরসা।
গত বুধবার গভীর রাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে ভেনটিলেটর ভেঙে প্রবেশ করে তার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ভারী ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে। এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে ওয়াহিদার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকেও জখম করে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত ইউএনও ও তার বাবাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ইউএনও ওয়াহিদাকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।