মাসুদ রানা জয়,পার্বত্যচট্টগ্রাম ব্যুরো:
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১৪ ফেব্রুয়ারী। এ নিয়ে শহর জুড়ে চলছে জল্পনা- কল্পনা। ভালবাসার দিনে ভালোবাসা দিবসে কে হচ্ছেন মাটিরাঙ্গার পৌর পিতা? ইতিমধ্যে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন প্রার্থীরা। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।
আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে শেষ। শনিবার সম্পূর্ণ হবে ভোট নেওয়ার বুথ তৈরিসহ নানা প্রয়োজনীয় কাজ। ১দিন বাকি শুধু ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার। প্রচারণা শেষ হলেও প্রার্থীরা বিভিন্ন ভাবে এখনো ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার চেষ্টা করছেন।
এই পৌরসভা নির্বাচনে ৩ জন প্রার্থী মেয়র পদে লড়ছেন। দলীয় ভাবে আওয়ামী লীগ মনোনীত শামছুল হক, বিএনপি মনোনীত শাহ জালাল কাজল নির্বাচনে লড়ছেন।
মেয়র পদে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে আ’লীগের বিদ্রোহী হিসেবে ভোটের প্রচারণা জোরে সোরে চালিয়ে যাচ্ছেন,আওয়ামীলীগের (বহিষ্কৃত)এম এম জাহাঙ্গীর আলম (মোবাইল)
৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪০ জন, সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ৯ টি কেন্দ্রে ৫৫ টি বুথে ভোট গ্রহণের কথা রয়েছে । ভোটার সংখ্যা পুরুষ ৯ হাজার ৮শ ৬জন জন। মহিলা ভোটার সংখ্যা ৯ হাজার ১শত ৬৯জন। মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজার ৯শত ৭৫জন ।
স্থানীয়রা বলছেন, যিনি পৌরসভার উন্নয়নে কাজ করবে এমন প্রার্থীকে এবার বেছে নেওয়া হবে। হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠান্ডায় ছুটে চলেছেন মেয়রসহ কাউন্সিলর প্রার্থীরা। আর দিয়ে যাচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। তবে বড় দুই দলের মেয়র প্রার্থীদের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন অনেকে।
আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী শামছুল হক বলেন। গত ৫ বছরে পৌর শহরের অনেক উন্নয়ন করেছি। বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে, এই কথা ভেবে পৌরবাসী আমাকে ভোট দেবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান আ’লীগ সরকার ক্ষমতায়, আর উন্নায়ন করতে হলে আ,লীগ প্রার্থীকেই দরকার।
বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী শাহ জালাল কাজল বলেন। আমি নির্বাচিত হলে পৌরবাসীর চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাজু আহম্মেদ বলেন, ‘ভোট হবে অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ ভাবে । ভোটে কোন ধরনের অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না।’
Leave a Reply