ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান খান, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ
মহেশখালীতে ১৪ লাখ টিক্কা ঘোনায় বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে দখল নিয়ে সংঘর্ষ, গোলাগুলি চলে আসছে। এরই মধ্যে ঘটনার পর আদালতের নির্দেশে মহেশখালী থানায় মামলা রুজু হয়। মামলার তদন্তকারী দল সরজমিন তদন্তও করেছেন।তারপরও থামছেনা তান্ডব।
মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন জানান, মামলা করার পর অস্ত্রধারী আরো বেপরোয় হয়ে উঠেছে। সকাল সন্ধ্যা ঘোনায় আশে পাশে অস্ত্রধারীরা দলবল নিয়ে অবস্থান করে আসছে। তিনি নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন।
বিশেষভাবে মাগরিবের পর ঘোনা পাড়ার বাসিন্দা মৃত জাকারিয়া মাঝির পুত্র ভাড়াটিয়া একরাম ও মেয়রের আরো মানুষজনসহ একটি সশস্ত্র দল নিয়ে অবস্থান করে। এদেরকে গ্রেফতার করা জরুরী। যার পরিবারে গত বছর ৪০ লাখ টাকার অবৈধ বার্মিজ জালসহ অনেক কিছু পাওয়া যায়।
তিনি আরো জানান, আদালতের নির্দেশে গত ৩ নভেম্বর মহেশখালীতে ডাকাতি মামলার সরজমিনে তদন্ত করতে গিয়ে অস্ত্রধারীদের গুলির মুখে পড়েছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এর একটি টিম। দুর্বৃত্তরা ডিবি পুলিশের প্রতিনিধি দলটিকে লক্ষ্য করে পাঁচ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
এর আগে গত ২৪ অক্টোবর ডাকাতির অভিযোগে মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকছুদ মিয়াসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন। আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তভার পায় ডিবি ।
স্থানীয়রা জানান, চিংড়ি ঘেরটি গত মাসে রাতের আধারে দখলে নেয় একটি গ্রুপ। এরপর থেকে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া লোকজনকেও যেতে বাধা দিচ্ছে তারা।
মামলার বাদী মুক্তিযোদ্ধা বীর আমজাদ হোসেন বলেন, শতাধিক এলাকাবাসীর সামনে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেছে। তারা সকলেই পৌরসভার মেয়রের লোক। আমি প্রশাসনের কাজ থেকে এই জবরদখলকারীদের বিচার চাই।
মহেশখালী থানা সূত্র জানান, ওই ঘটনার পর মামলা হয়েছে। ডিবি তদন্ত করছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বজায় না রাখলে তাদের গ্রেফতার করা হবে।