নীলফামারী প্রতিনিধি: উজানের পাহাড়ী ঢল ও ভারী বর্ষনের ফলে তিস্তার পানি বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপড় দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে উপজেলার প্রায় ৩হাজার পরিবার।
শুক্রবার সকালে তিস্তার পানি বিপদসীমার(৫২দশমিক ৮০সেন্টিমিটার)উপড় দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যা বিপদসীমার ২০সেন্টিমিটার উপড়ে থাকলেও। দুপুরে তা কমে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৭৮ সেন্টিমিটার) ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া বিভাগের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, বৃহঃবার বিকেল পয্যন্ত তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও রাত ১২টার পর উজানের ঢলে ও ভারি বৃষ্টি পাতের কারণে তা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপড় দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এবং শুক্রবার দুপুর পয্যন্ত ৮২.০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি বাধের ৭ মিটার ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে ইউনিয়নের পূর্বখড়িবাড়ীর দিঘিরপাড়, চরখড়িবাড়ী, পশ্চিম টাপুর চর, পাগলীর বাজারের ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পূর্বছাতনাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক আবদুল লতিফ খান জানান, তিস্তার পানি হটাৎ করে বৃদ্ধি পাওয়ায় ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেরশ্বর ১ থেকে ৬ নং ওয়ার্ডের ১হাজার ৪০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ঝুনাগাছচাপানী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান জানান, ইউনিয়নের তিস্তা নদী বেষ্টিত এলাকা ভেন্ডাবাড়ী ও সাতুনামার ৫শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। খালিশা চাপানী ইউপি চেয়ারম্যান আতাউড় রহমান জানান, ইউনিয়নের বাইশপুকুর ও ছোটখাতা গ্রামে তিস্তার পানি প্রবেশ করে ৫শ ৫০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এবং তিস্তা পাড়ের মানুষজন বন্যার কারণে সতর্কাবস্থায় রয়েছে। সেইসাথে চরের বাদাম ক্ষেত ও বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গবাদি পশু ও পালিত হাঁস মুরগি উঁচু জায়গায় সড়িয়ে নেয়া হয়েছে বলে জনপ্রতিনিধিরা জানান। ডালিয়া (পাউবো)ও নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানের ঢলে ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে শুক্রবার তিস্তার পানি বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপড় দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে এবং আমরা সতর্কবস্থায় রয়েছি। ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় বলেন, তিস্তা নদীর বন্যাকবলিত এলাকা স্বরেজমিনে পরিদর্শন করে। পানিবন্দি পরিবারের জন্য জেলায় ত্রানের চাহিদাপত্র প্রেরন করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy