1. dailysurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
৩০ দালালের প্রধান সমন্বয় কারি নাছির চালাচ্ছেন ফেনী বিআরটিএ অফিস,এই যেন দেখার কেউ নেই
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
ভিজিডি কাড না দেওয়ায় সৈয়দপুর পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও পথসভা নৈতীক স্খলন ও সিমাহীন আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদে সৈয়দপুর পৌর মেয়রের অপসারনের দাবীতে \ সংবাদ সম্মেলন টেলিভিশন ক্যামেরা র্জানালিস্ট অ্যাসোসয়িশেন (টিসিএ) নেতৃত্বে   সোহলে ও জুয়েল কলাতিয়া বাজারের যানজট ও ফুটপাত দখল মুক্ত করলেন কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ি “বাংলাদেশ সূফী ফাউন্ডেশন পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে রমজান মাসে যাত্রা শুরু করবে” নীলফামারীতে উৎসবমুখর পরিবেশে চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নীলফামারী টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের আহবায়ক কমিটি গঠন এস আই আল মামুন এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়েছে – ভুক্তভোগী সজল কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন ৭ই মার্চ সাংবাদিক নয়নের উপর হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে মানববন্ধন 

৩০ দালালের প্রধান সমন্বয় কারি নাছির চালাচ্ছেন ফেনী বিআরটিএ অফিস,এই যেন দেখার কেউ নেই

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৭ জুন, ২০২৩, ১২.১৮ এএম
  • ৭৭ বার পঠিত

হাসনাত তুহিন ফেনী প্রতিনিধিঃ

অনিয়ম,ঘুষ বানিজ্য, দূর্নীতি ও ৩০ এর অদিক দালাল অফিস খরচের নামে জনসাধারণ হতে অতিরিক্ত নগদ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিনিয়ত, ফেনীর বিআরটিএ এর দালাল ও অফিসের কর্ম কর্তারা। এদের প্রদান দালালের দায়িত্ব পালন করছেন আইটি কোম্পানির ডিআরসির দায়িত্বে থাকা নাছির।

 

দালালের আখড়া এ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বহুবার দূর্নীতি অনিয়মও ঘুষ বানিজ্য সহ দালাল পোষণের বিরুদ্ধে বহু সংবাদ প্রকাশ হলেও অদৃশ্য খুঁটির জোরে কোন কাজই হচ্ছেনা। এছাড়া ফেনী বিআরটিএ অফিসের কর্মকর্তারা কাউকে পত্তাই দিচ্ছেন না। সরে জমিনে দেখা যায় ফেনী বিআরটিএ অফিস সম্পূর্ণ পরিচালিত হচ্ছে বহিরাগত দালাল সিন্ডিকেট দ্বারা।তারা নিজেদের মতো করে মন খুশি মতো নগদ অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে তাদের নির্দিষ্ট কিছু লোকের কাজ করে থাকেন।বাদ বাকী মানুষগুলো সহজ সরল জনসাধারণ। জনসাধারণের কাজের বেলায় আসলেই অফিসের নেটওয়ার্ক নেই।জনবল সঙ্কট নানান তাল বাহানা দিয়ে হয়রান ফেরেশান করেন।একবারের বেশী দুইবার কেউ কোন কথা জানতে চাইলে তাকে হেনস্তা করে ছাড়ে অফিসে পোষা দালাল চক্ররা। তথ্য সংগ্রহ কালে দেখা যায়, বিআরটি এ-র পালিত দালালরা নগট টাকা গ্রহণ ও গণনায় ব্যস্ত থাকেন। দাল সাইফুল গ্রাহক থেকে নগদ টাকা সংগ্রহ করে টাইগার আইটি কোম্পানির ডিআরসির নাছির এর হাতে বুঝিয়ে দেয়,এমন তথ্য সংরক্ষিত আছে। এছাড়াও বিআরটি অফিসের ভিতরে কর্মরত অফিসারের মত দায়িত্ব পালন করে থাকেন। সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পাওয়ার পর তারা নিজেদের জানান দেয়ার জন্য প্রকাশ্য লেনদেন বাড়িয়ে দেন। অবৈধ টাকা অফিস শেষের দিকে কাদের হাতে তুলে দেন এইটা বুঝার বাকি থাকেনা। ফেনী বিআরটিএ অফিসে দালাল চক্রের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো।

 

কম্পিউটার থেকে শুরু করে সরকারি অফিসের সমস্ত ফাইল কাগজপত্র দালালদের দখলে। ফেনী বিআরটি এ যে সব দালান প্রতিনিয়ত ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজেদের সরকারি চাকরিজীবী মনে করে তাদের মধ্যে প্রধান দালাল হলেন,সাইফুল ইসলাম-০১৮৫৪১২৩৪৬৩(নগদ টাকা লেনদেন করেন)। অপর দালালরা হলেন-রাজু-০১৮৪৯৮৭৯০২০,জসিম উদ্দিন-০১৮২৩৫৮৪২৯৯৮,আলিম উদ্দিন-০১৮১৮০৬৫৭৬০,জহির-০১৮১৯০৯০৩৬৪,দালাল নবী-০১৬৭২০০৩৭১৫(রেকর্ড কিপারের দায়িত্ব পালন করেন) রফিকুল ইসলাম-০১৮২৯১৯৫৫০২,

নয়ন-০১৮১২৭৪৩৫১১(কম্পিউটার বসে কাজ করতে দেখা যায় এবং নগদ টাকা লেনদেন করে সবসময়) রাব্বানী-০১৮১৯১৭৩৭১৮,নূরুল আফসার-০১৮১৯১০৮২৮৮,দালাল মনজ কুমার চন্দ্রদাস-০১৮১৬৯০৮৯৭৬,কাজল-০১৮১৯০৯৯২৯৩,জয়নাল-০১৮১৪৯৯৬৪৭১,বাচ্চু-০১৯৫৪৮৮৭৪৮,ইউসুফ-০১৮১২৪২৪৭৬৫,আলমগীর হোসেন নিপু-০১৮৪২৯৬৪০৭৬। যে সকল দালাল দের নাম্বার পাওয়া যায়নি তারা হলেন, সোহরাব, রাকিব,মিরাজ,বিদুৎ, মিলন,রহিম উল্লাহ,বাবু,আরিফ,মানস চন্দ্র দাস সহ নাম না জানা আরো অনেকেই রয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় ফেনী বিআরটিএ অফিস ঘুষ দূর্নীতি অনিয়মও দালাল চক্র দ্বারা বহু আগেই জনগণ হতে বেদখল হয়ে আছে।এবিষয়ে অনেকবার সমালোচনার ঝড় উঠলে ও ফেনী বিআরটিএ অফিস এসবের কোনো পরোয়াই করছেননা।জেলায় একটি মাত্র বিআরটিএ অফিস রয়েছে।দৈনন্দিন অনেক কাজ রয়েছে প্রতিটি লোকজনের।সরকারি অফিস আদালত জনগণের কর ট্যাক্স ও ভ্যাটের টাকায় কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতা চললেও অফিসের পিওন থেকে শুরু করে কর্মকর্তারা পর্যন্ত সাধারণ মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার পর্যন্ত করেনা।

এ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা দিন দিন অতীতের চাইতে অধিক বেপরোয়া হয়ে উঠছেন ।তাদের ঘুষ বানিজ্যে দিশেহারা হয়ে প্রতিনিয়ত একবুক হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয় ভুক্তভোগীদের। ফেনী জেলার ছয়টি থানা থেকে আসা সাধারণ মানুষ প্রতিদিনই ভোগান্তি শিকার হচ্ছেন এখানে।ঘুষের মাধ্যমে এখানে যে কোন কজই অবৈধ হলেও বৈধ করা যায় বলে অনেক ভুক্তভোগী জানান।টাকা হলে এখানে সব কাজ সম্ভব বলে একাধিক প্রতিবেদক’কে জানান।সরকারি অফিসে এ যেন রাম রাজত্ব চলছে।দেখার যেন কেউই নাই।

 

প্রত্যক্ষদর্শীও এক ভুক্তভোগী নূর নবী জানান, ২২/১৯/২১ সালে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য সকল ডকুমেন্টস সহ অফিসে জমা প্রদান করি, এর পর চলে আজ নয় কাল কাল নয় তার পরে এমন করে ঘুরাইতে থাকে।কবে কখন আমার নবায়ন করা লাইসেন্স হাতে পাবো তার কোন হদিস নেই বলে জানান এই ভুক্তভোগী। এছাড়াও অনেকে জানান যে, সকাল হতে চেষ্টা করেও অফিসে যেতে পারিনি,কিন্তু অফিসে লোকে লোকারণ্য। সাধারণ মানুষ যাদের এ অফিসে কাজ আছে তারা অফিসে ঘেঁষতে পারছেন না তাহলে সারাক্ষণ ৯ জন অফিস কর্মকর্তা ও ৩০ এর অধিক দালাল রাই ভিড় জমিয়ে রাখেন। প্রতিনিয়ত যে সকল সাধারণ মানুষ কে দেখা যায় তারা দালালের মাধ্যমে সব কাজ সম্পন্ন করে ফিঙ্গারপিন দেওয়ার জন্য আসা। সরকারি নিয়ম মেনে যেসকল সাধারণ মানুষ কাজ করতে চাই তাদের কে তেমন দেখা যায় না বিআরটি অফিসের আসেপাশে দালালদের বাউন্ডারি দেয়াল রাখায় সাধারণ মানুষের কাজকর্মে নীতি বাচক প্রভাব পড়ে।

প্রধান দালাল সাইফুল নাছিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি নগদ টাকা লেনদেনের বিষয়ে জানান, তাদের নিকট আত্মীয়রা বিআরটি অফিসের সরকারি ফিসের টাকা জমা দেওয়ার জন্য না-কি তাদের হাতে নগদ টাকা তুলে দেন। সাইফুল এবং নাছিরের বাড়ি নোয়াখালী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এমন বিষয়ে জানতে চাইলেও তারা সঠিক উত্তর দিতে পারেননি।

বিআরটি এ-র প্রধান প্রকৌশলী’র বক্তব্য নিতে চাইলে তিনি প্রতিবেদকে বক্তব্য দিতে অসম্মতি জানান। এই ছাড়াও তিনি বলেন, মিডিয়ার বিষয়ে বক্তব্য দিবেন আমাদের রোড সেপ্টির পরিচালক মোহাম্মদ রাব্বানী স্যার। তার সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি। ও-ই পরিচালকের খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি নোয়াখালী বিআরটিএ বদলি হয়ে গেছেন।একপর্যায়ে প্রতিবেদকের অনুভবে এক বক্তব্যর আলোকে বলেন, কাহারও বিষয়ে কোন অভিযোগ থাকলে উনাকে জানানোর পর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews