কংকন দাশ, চট্টগ্রাম:
আজ সোমবার নগর ভবনে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কানাডার হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলস।
এইসময় তিনি বলেছেন, ‘স্বাধীনতার পরপরই যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশকে বাঁচাতে খাদ্য সহায়তা দেয় কানাডা। বাংলাদেশের সঙ্গে কুটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরে কানাডা সব সময় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে কানাডা সব সময়েই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এসেছে এবং বর্তমানে সাহায্যের ক্ষেত্রগুলোকে আরও প্রসারিত করতে চায়।
কানাডার হাইকমিশনার আরো বলেন, ‘কানাডা শিক্ষাক্ষেত্র বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে। কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে চট্টগ্রামকে সমৃদ্ধশালী করতে পারে কানাডা। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ওষুধশিল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী কানাডার অনেক শিল্পগ্রুপ। এ ছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিশ্বসেরা প্রযুক্তি সরবরাহের মাধ্যমে চট্টগ্রাম নগরীকে একটি পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর নগরীতে পরিণত করার বিষয়ে অবদান রাখতে পারে কানাডা। কানাডা সৌরবিদ্যুৎ বিকাশে সহায়তার মাধ্যমে সবুজ জ্বালানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারে।’
এ সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম বলেন, ‘চট্টগ্রামকে মানুষ চেনে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে। প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ মানুষ চট্টগ্রামে ব্যবসায়িক কাজে আসেন এবং চলে যান। তবে চট্টগ্রামের বিনোদন খাত প্রসারিত হলে মানুষ ব্যবসায়িক কাজে এলেও তাদের পরিবার-পরিজনকে নিয়ে আসবে যার মাধ্যমে চট্টগ্রামের অর্থনীতি নতুন গতি পাবে। ট্যুরিজম খাতের সম্ভাবনা মাথায় রেখে ওশান এমিউজম্যান্ট পার্কসহ অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন ও বৈচিত্র্যসাধনে নানামুখী পদপেক্ষ নিচ্ছি। আমি চাই, চট্টগ্রাম কেবল বাণিজ্যিক নগরীর পরিচয়ে আবদ্ধ না থেকে ভ্রমণপিপাসুদের স্বর্গে পরিণত হোক। দেশ-বিদেশ থেকে আসা বিনোদনপিপাসুদের কলরবে মুখর হোক চট্টগ্রাম।’
তিনি বলেন, ‘কানাডা চট্টগ্রামের ট্যুরিজম খাতের বিকাশে বিনিয়োগ করতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ভূমি বরাদ্দ দেবে। এ ছাড়া চট্টগ্রামে সব ধরনের সুবিধাসম্পন্ন বৃহৎ আকারের একটি হাসপাতাল নির্মাণের মাধ্যমে কানাডা বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে পারে। পাশাপাশি চসিক পরিচালিত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে কানাডা।’