ফিরোজ হোসেনঃ
অতিরিক্ত বিল নিয়ে সমালোচনার মুখে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়েছে। এ ছাড়া কোনো গ্রাহককে অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করতে হবে না বলেও আশ্বস্ত করা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ বিভাগ ও এর আওতাধীন দপ্তর ও কোম্পানির বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত বিল করার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাত দিনের মধ্যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় আলোচনাকালে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল প্রদানের বিষয়ে পর্যালোচনা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আগামী সাত দিনের মধ্যে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল প্রদানের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ বিভাগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে। কোনো অবস্থায় অতিরিক্ত বিল গ্রহণ করা যাবে না। একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে টাস্কফোর্স গঠনেরও সিদ্ধান্ত হয় সভায়। সভায় বিতরণ কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা অতিরিক্ত বিলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে জানান, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল প্রদানের বিষয়টি নিয়ে সংস্থাগুলো আলাদা আলাদাভাবে গণমাধ্যমের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে ব্যাখ্যা করবেন। সভায় মানবসম্পদ উন্নয়ন, সোলার বিদ্যুৎ প্রকল্প, পিডিবির বিদ্যুৎ হাব, স্মার্ট মিটারসহ প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে পেপারলেস অফিসের ওপর গুরুত্ব দেন প্রতিমন্ত্রী। এর আগে বুধবার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) একটি সংলাপে অংশ নিয়ে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের অভিযোগ স্বীকার করেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এর জন্য বিদ্যুতের ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিগুলোকে দায়ী করেন তিনি। এ সময় প্রতিমন্ত্রী জানান, অতিরিক্ত বিল নিয়ে দুচিন্তার কিছু নেই। কাউকে অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করতে হবে না। মিটার দেখে সবার বিল সমন্বয় করে নেয়া হবে। বৃহস্পতিবারের ভার্চুয়াল সভায় বিদ্যুৎ সচিব সুলতান আহমেদ, পিডিবির চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন, আরইবির চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন এবং দপ্তর ও কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। করোনাভাইরাসের কারণে ২৫ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা এবং লকডাউনের মতো পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ বিলসহ গ্রাহকদের অন্যান্য যেকোনো বিলের ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা আসে। এতে বলা হয়, এসব বিলঅফিস খোলার পর এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নেওয়া হবে। এর মধ্যে কোনো জরিমানা আসবে না। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে জুন পর্যন্ত সময় বেধে দেয়া হয়। কিন্তু মার্চের পর গত তিন মাসে গ্রাহকদের কাছে প্রতি বিলেই জরিমানা এবং দ্বিগুণ-তিনগুণ পর্যন্ত ভুতুড়ে বিলের কাগজ যায়। এ নিয়ে দেশব্যাপী গ্রাহকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy