পাপিষ্ঠ, অসভ্য ও নিষ্ঠুর পিতা- আবু তাহের মাষ্টার বিচক্ষণ দুশমন। যা কেউ জানেনা। ১৯৭৮ ইং সনে সন্ত্রাসী আবু তাহের তার স্ত্রীকে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। জ্যেষ্ঠ পুত্রকে এমবিবিএস ডাক্তারী শিক্ষা অর্জন থেকে বঞ্চিত করেছে। মেজো কন্যার পারিবারিক অশান্তি সৃষ্টি করে খুন হতে বাধ্য করেছে। কনিষ্ঠ পুত্রকে প্রকাশ্যে হামলা করেছে। পাকিস্তান আমলের সন্ত্রাসী কায়দে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বাহিনীর ভোলা মহকুমার শিষ্য আবু তাহের। সময়ের ব্যবধানে সে অন্যান্য সন্ত্রাসী কাজে নিয়োজিত থাকে। তার জীবনের সকল অপকর্মের শেল্টার পাওয়ার জন্য সে ভোলা মহকুমার তজুমদ্দিন থানা এলাকার শাহজী বাড়ীর এক গৃহের নাতিন জামাই রুপ ধারণ করে তদানীন্তন কালের সকল কুকর্ম হালাল করে। হালালী কুকর্মের বেশে সে বোরহান উদ্দিন থানার হাসান্নগর ইউনিয়নের মির্জাকালু বাজারের উত্তর বাজারের এক খুপরি ঘরে পলাতক থাকে। সেখানে সে স্বামী হয়ে স্ত্রীকে জঘন্য মারপিট করে হাত পা ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়। সাময়িক চিকিৎসার দ্বারা তার স্ত্রী ফরিদা বেগম পাখী পিতা- মৃত: হারিছ আহম্মেদ পাটোয়ারীর (হারু) আশংকা মুক্ত হয়। সেই থেকেই হৃদয়ে স্বামীর প্রতি বৈরীতা ধারন করে জীবন ও ঘর সংসার করে আসছে ঐ সন্ত্রাসী আবু তাহেরের স্ত্রী। প্রতি পদে পদে ঐ সন্ত্রাসী আবু তাহেরকেও তার স্ত্রী ফরিদা বেগম লাঞ্চিত করে চলেছে। আবু তাহেরও তার স্ত্রীকে লাঞ্চিত করে তার জীবন সংসার পরিচালিত করে চলেছে। লাঞ্ছনার সংসারের সকল লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, সৃজন, উৎপাদন, অর্জন স্বামী-স্ত্রী মারামারি পাটা-পুতার ঘষাঘষির মত গঙ্গার জলে জলাঞ্জলিত। ঐ সন্ত্রাসবাদী স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গত পনের হইতে বিশ দিন যাবৎ সন্ত্রাসবাদী এওয়াজপুরের সন্ত্রাসবাদী দুই নং ওয়ার্ডের ঠিকানা ত্যাগ করার মানসিকতা দেখা গেছে। গত ২৩/০৭/২০২০ ইং তারিখে তার চূড়ান্ত প্রস্তুতি হিসেবে সন্ত্রাসী আবু তাহের রূপান্তরে সন্ত্রাসী আবু তাহের মাষ্টার তার সন্ত্রাসবাদী স্ত্রীকে নিয়ে তাদের চরফ্যাশন পৌরসভার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সেখানে গিয়ে নয়া নতুন ফর্মুলায় বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত করার নতুন ফর্মুলা তৈরি করবে বলে খোঁজ পাওয়া গেছে। এছাড়াও তারা গা-ঢাকা দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। শেখ হাসিনার সরকার উৎখাতে সক্ষম বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সরকার রাষ্ট্রে আনয়নের উদ্দেশ্যে উভয়েই পৃথকভাবে কাজ করছে। এছাড়াও চিকিৎসার নামে বিএনপি-জামায়াতের ফান্ডে অর্থায়ন করার মনোভাব ও মনোবাসনায় মশগুল ঐ ফরিদা-তাহের দম্পতি। কেননা বিয়াল্লিশ বছর আগে স্বামীর হাতে মার খাওয়া স্ত্রীর দেহবিষ গত ২২/০৭/২০২০ ইং তারিখে আগমন ঘটা খুবই একটা বিচিত্র বিষয়। তবে সবাই ভাবছে স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ স্ত্রীর দ্বিগ্বিদিক ছুটাছুটি কান্ডের জেরে ঐ পরিবারের জ্যেষ্ঠ সন্তান মোঃ আবুল কাশেম এমবিবিএস ডাক্তারী পাঠ গ্রহনে বঞ্চিত হয়েছে। মেজো সন্তানের পরিনতি মৃত্যু এবং কনিষ্ঠ সন্তানের জীবনের ছিনিমিনি শুরু।ছবিতে স্ত্রী নির্যাতনকারী, জ্যেষ্ঠ পুত্র হত্যাচেষ্টাকারী, কনিষ্ঠ পুত্রকে হামলাকারী, সন্ত্রাসী, নিষ্ঠুর, বর্বর ও অসভ্য পিতা আবু তাহের মাষ্টার এর বর্তমান চেহারা দেখা গেছে। এই আবু তাহের যুদ্ধাপরাধীদের দোষের ছিল। ১৯৭১ ইং সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করেছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে পশ্চিম পাকিস্তান সরকারের সকল কার্যক্রম অচল করে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলাকালে মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্তানের সকল স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের এইচ এস সি পরীক্ষা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ও মুক্তিযোদ্ধাদের সেই নির্দেশ অমান্য করে এই আবু তাহের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তান সরকারের হটে যাওয়ার পর বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে পাকিস্তান সরকারের নেওয়া সেই পরীক্ষা ও পরীক্ষার ফলাফল প্রত্যাখ্যান করা হয় ও বাতিল ঘোষণা করা হয়। বাল্যকালে এই আবু তাহের দৌলতখান হাই স্কুল থেকে এসে এসব সি পাশ করে। এইসব এসে সি পাশ করে বাউল সরকারি কলেজ থেকে। উভয় পাশ ই পাকিস্তানের। বাংলাদেশের কোন পাশ তার নাই। এই জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে সর্বদা বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্র বিরোধী কাজ করে। দেশদ্রোহী কাজ করার জন্য সে দেশে, সমাজে, বাইরে, ঘরে রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী কাজ করার জন্য “মুখে মধু অন্তরে বিষ” নীতি অবলম্বন করে। সরকারের লোকজনদেরকে কুপথে ও কুকর্মে ব্যবহার করে। তাই অনতিবিলম্বে এই পাপিষ্ঠ আবু তাহের মাষ্টার জেল হাজতবন্ধী করে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা চালু করা প্রয়োজন।