এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। বেজে ওঠে বিউগলের করুণ সুর। পরে বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) ফারুক খানের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান নেতাকর্মীরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, আফজাল হোসেন, সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনিসুর রহমান, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খানসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
এরপর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে শ্রদ্ধা জানাতে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক খান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যেসব খুনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিদেশে ফাঁসির দণ্ড মাথায় নিয়ে পালিয়ে আছে। তাদের দেশে ফিরেয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার। যে দেশে পালিয়ে আছে সে দেশের সরকারের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হত্যার পেছনে জিয়াউর রহমান জড়িত। তাই দেশের মানুষ জিয়াউর রহমানকে ঘৃণাভরে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, আজ একটি কালো দিন। আজকের দিনে ঘাতকেরা জাতির পিতাসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করেছিল।
বেলা ১১টায় সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কালো পতাকা টানানো হয়েছে।