আনোয়ার হোসেন আন্নু, বিশেষ প্রতিনিধি
ঢাকার ধামরাই উপজেলার সুয়াপুর এলাকার দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে সুয়াপুর মালশিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মোঃ শরীফ হোসেন (৪২),আটক করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। শনিবার(১৫আগষ্ট) বিকালে ধামরাই উপজেলার সূয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাকে আটক করা হয়।
এই ঘটনায় মেয়ের বাবা মোঃ রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে বলে জানাগেছে। মোঃ শরীফ হোসেনের বাড়ী ফরিদপুর জেলার বোয়ালমাড়ি থানার আব্দুর রহমানের ছেলে। সে সূয়াপুর বাজারের মালশিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক।
ছাত্রীর বাবা মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ে স্কুল খোলার বিষয়ে জানতে গত কয়েকদিন আগে স্কুলে আসে। সেই সময় প্রধান শিক্ষক শরিফ হোসেন আমার মেয়ে ও তার বান্ধবীকে বলে তোমাদের পরীক্ষার খাতায় নাম্বার দিয়ে পাস করিয়ে দিব বলে কুপ্রস্তাব দেয়। তখন আমার মেয়ে ও তার বান্ধবী দুইজনই বাড়ীতে গিয়ে এই সব কথা তার মায়ের কাছে বলে দেয়।
এই শুনে শনিবার বিকালে স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষক শরীফ হোসেনকে জিজ্ঞাসা করলে সে বিভিন্ন ধরণের কথা বলে। এর পর এলাকার লোকজন জড়ো হলে ঐ শিক্ষককে আটক করে সূয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহরাব তাকে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয়।পরে পুলিশ গিয়ে তাকে আটককরে থানায় নিয়ে আসে।
এই বিষয়ে সূয়াপুর উইনয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহরাব হোসেন বলেন, আমি জানতে পারি সূয়াপুর বাজারে মালশিয়ান স্কুলে এক শিক্ষককে মারধর করিতেছে। পরে আমি এক মেম্বারকে পাঠিয়ে তাকে পরিষদে আনতে বলি। এর পর মেয়ের বাবার কাছ থেকে সব কিছু শুনি, যেহেতু এটা একটা জটিল বিষয় তাই পুলিশকে খবর দিয়ে থানায় পাঠানো হয়।
ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক এস.আই.মোঃ আবুল খায়ের মিয়া সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশিচত করেন যে সূয়াপুর বাজারের মালশিয়ান স্কুলে প্রধান শিক্ষক শরীফ হোসেন দুইটি মেয়েকে কুপ্রস্তাব দিলে তারা তার মার কাছে বলে দেয়। পরে শনিবার বিকালে প্রধান শিক্ষককে লোকজন ধরে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসে।
এর পর চেয়ারম্যান আমাকে খবর দিল পরিষদে পৌছিয়ে বিস্তারিত শুনে প্রধান শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসি,পরে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।