ডেস্ক : সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চুক্তি করেই ফিলিস্তিনে নতুন করে তাণ্ডব শুরু করেছে ইসরাইল। রোববার ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় উপর্যুপরি বিমান হামলা চালায় দখলদার বাহিনী।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই গাজায় তাণ্ডব চালিয়ে আসলেও আজকের হামলার মাত্রা ছিল অপেক্ষাকৃত ব্যাপক। আজ সকাল থেকে গাজা উপত্যকার জেলেদের মাছ ধরার সুযোগও পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে তেল আবিব।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মুখপাত্র ফাউজি বারহুম বলেছেন, গাজার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে বিপর্যস্ত করে তুলতে দখলদার বাহিনী এমন আগ্রাসী নীতির আশ্রয় নিয়েছে। ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিদ্যমান আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক নীরবতার সুযোগ নিয়ে তারা করোনার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইকেও বাধাগ্রস্ত করছে, এর ফলে সংকট আরও জটিল হচ্ছে।
ইসরাইলি বাহিনীর দাবি, হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল গাজায় হামাসের একটি সামরিক ভবন ও ভূগর্ভস্থ অবকাঠামো। বরাবরের মতোই এবারও হামলার পক্ষে অজুহাত হিসেবে গাজা উপত্যকা থেকে রকেট ও আগুনবোমা নিক্ষেপের কথা জানিয়েছে দখলদার বাহিনী।
ইসরাইলি বাহিনীর দাবি, আজকের হামলার আগে গত সন্ধ্যায় গাজা-ইসরাইল সীমান্তে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এদিন কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি সীমান্তে টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে, বিস্ফোরক দ্রব্য নিক্ষেপ করে ও সীমান্ত বেষ্টনীর দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে। ২০০৭ সাল থেকেই গাজা উপত্যকা অবরোধ করে রেখেছে দখলদার বাহিনী। ধরপাকড় আর বিমান হামলা যেন সেখানে নৈমিত্তিক ঘটনা।