নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফেসবুকের মাধ্যমে চাঁদাবাজি । এসকল ফেসবুক আইডির প্রতিটি পিকচার প্রোফাইলে সিকদার লিটনের নিজের ছবি বিদ্যমান রয়েছে এবং প্রতটি ফেসবুক জুড়ে ফরিদপুর এলাকার মন্ত্রি,সংসদ,চেয়ারম্যান,মেম্বার গন্যমান্য ব্যাক্তি,রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে কুৎসা,নোংরা ভাষা ব্যাবহারে ষ্টাটাস দিয়ে যথেচ্ছ ভাবে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে চরিত্র হনন করা হচ্ছে এবং ফেসবুক জুড়ে কাল্পনিক,মনগড়া ,গুজবী কথাবার্তা এবং নারীদের অশ্লীল অংগ ভঙ্গির ছবিতে পরিপূর্ন। সিকদার লিটনের ফেসবুকে আক্রান্ত কয়েক ব্যাক্তির সাথে যোগাযোগ করা হলে উনারা জানান সিকদার লিটন একজন পৈচাশিক চরিত্রের লোক,তার এই অপপ্রচারের ভয়ে এলাকাবাসী একপ্রকার জিম্মি । এটা তার অর্থ উপর্যনের একটি কৈাশল। এই মানহানীকর,চরিত্রহননের অপপ্রচারের হাত থেকে বাচতে গোপনে কেউ কেউ তাকে তার চাহিদা মত চাঁদা প্রদান করে আপোষ করে চলতে হয়। যারা তার চাহিদা মেটাতে ব্যার্থ হয় তাদের এবং তাদের পরিবারের সমাজে মুখ দেখানোর উপায় থাকে না। সিকদার লিটন একজন ভংন্কর প্রতারক,ব্লাকমেইলার, গোপনে চাঁদাবাজি করে, সে একাধীক বিবাহ সহ বিভিন্ন অপরাধে একাধীক মামলার আসামী। সরেজমিনে এলাকাবাসির সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থানার টগরবন্ধ ইউনিয়নের চর আজমপুর গ্রামের সিদ্দিক সিকদারের ছেলে এই সিকদার লিটন। প্রতারনার মাধ্যমে একাধিক বিবাহ করে তাদের তালাক দিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন থানায় বিভিন্ন অপরাধে রয়েছে তার নামে একাধীক মামলা, আলফাডাঙ্গা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রয়েছে ৯৬ ও ৮৭৫ নং মামলা এবং ২০১৬ সালে প্রতারনার অভিযোগে রয়েছে একটি মামলা। খুলনা সোনাডাঙ্গা থানায় ২০১৮ সালের ১৯ মার্চ প্রতারনার অভিযোগে ২৪ নং মামলা, পাবনা জেলার আটঘরিয়াতে ২০১৪ সালে ৪৯/১৪ নং সি,আর মামলা একই জেলার আমিনপুর থানাতে প্রতারনার অভিযোগে ২০১৪ সালে ১৮ মে হয়েছে আরও একটি মামলা। এছাড়া চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে একাধীক ব্যাক্তির কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। সিকদার লিটনের নামে গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকায় দীর্ঘ দিন পলাতক অবস্থায় আছে, মাঝে মাঝে ছদ্মবেশে পুলিশের চোখ ফাকি দিয়ে এলাকায় আসা যাওয়া করে। এলাকাবাসী আরও জানায় সে ঢাকায় অবস্থান করে ফেসবুকে রাজনৈতিক নেতা ও গন্যমান্য মানুষের বিরুদ্ধে নোংরা,মিথ্যা ,বানোয়াট,চরিত্রহানীকর ষ্টাটাস দিয়ে চাঁদাবাজী করা এখন তার একমাত্র পেশা,সম্মানী লোক সম্মান রক্ষা করতে গোপনে তার চাহিদা মেটাতে বাধ্য হয়। নিজের ক্ষমতা জাহির করতে ও প্রতারনা করার সুবিধা নিতে ফেসবুকে সে কখন পুলিশের কর্তার মত তথ্য ও নির্দেশ দেয়,কখনও Rab কর্তা ব্যাক্তির মত তথ্য ও নির্দেশ দেয়, কখনও সিআইডি,ডিবির কর্তা ব্যাক্তির মত তথ্য দিয়ে ফেসবুকে স্টাটাস দিয়ে বোঝাতে চেষ্টা করে প্রশাসনের সাথে তার বিরাট সম্পর্ক। এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা প্রতারক,সম্মানহানীকারি,চাঁদাবাজ সিকদার লিটনকে দ্রুত আটক করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানায়। সিকদার লিটনের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায় তার ফেসবুক আইডিতে কমেন্টস দেওয়ার জন্য প্রশ্ন করা হলে কোন উত্তর না দিয়ে মুছে ফেলেন।