রবিউল ইসলাম:
ঢাকা-১৮ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আমিনুল ইসলাম হান্নান। তিনি চাঁদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি, জাপান আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি,দক্ষিনখান থানা বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সাবেক সভাপতি,
বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের ঢাকা মহানগর উত্তর এর সহ-সভাপতি,বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক,বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি,বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ।
একজন ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে রাজনৈতিক মহলে তার পরিচিতি রয়েছে। একইসঙ্গে একজন নিষ্ঠাবান ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি ব্যবসায়ী মহলে সমাদৃত।
আমিনুল ইসলাম হান্নান প্রাইড জাপান বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক , দাই ইচি গ্রুপ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জিটি গ্রুপ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এছাড়াও এয়ারপোর্ট হেল্প সার্ভিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান।

ব্যবসা রাজনীতির পাশাপাশি তার রয়েছে সেবামূলক কিছু প্রতিষ্ঠান , সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গুলোর মাধ্যমে জনগণ আপামর জনতা সকলকে সেবা দিয়ে থাকেন, ম্যাক্স সোসাল এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান, জাপান ক্লাব লিমিটেডের সেক্রেটারি জেনারেল,জাপান বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটসের মহাসচিব,ঢাকাস্থ বৃহত্তর কুমিল্লা সোসাইটির চেয়ারম্যান, ম্যাক্স হেলথ কেয়ার ক্লিনিক এর চেয়ারম্যান , স্কাই ল্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চেয়ারম্যান।

রাজনৈতিক অঙ্গনে তার রয়েছে বিশেষ অবদান, তিনি জানান, ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জনাব মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম ) এর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা অংশগ্রহণ করি,২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কর্তৃক সাবেক ঢাকা – ৫ আসনের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে প্রচার প্রচারণায় অংশগ্রহণ করি,২০০৮ ও ২০১৪ সালের ঢাকা ১৮ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্তৃক মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের নির্বাচনী প্রচারণার কাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করি ও আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী জনাব আনিসুল হকের পক্ষে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন (এমপি )ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত ফারুক খান (এমপি) এর নির্দেশে সক্রিয়ভাবে প্রচার-প্রচারণা নির্বাচন করি,২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কর্তৃক মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট সাহারা খাতুন ও চাঁদপুর -২,মতলব (উত্তর ও দক্ষিণ )২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট নুরুল আমিনের পক্ষে ব্যাপক প্রচার-প্রসার অংশগ্রহণ করি এবং জয়লাভ করি।

তারাই বর্ণাট্য দীর্ঘ বছরের রাজনৈতিক জীবনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন বহুবার তিনি জানান ,পল্টন থানার লগি-বৈঠা আলোচিত মামলা নং-৬১, তারিখ ২৬/৬/ ২০০৬ ইং ।তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল সাহেব ও আমি – সহ অনেকে অত্র মামলার আসামি ছিলাম ,উক্ত মামলা উত্তরা থানা , তুরাগ থানা ও খিলক্ষেত থানায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় মামলার কারা বরণ করে জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছি।

তিনি আরো জানান, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বুকে ধারণ করে থাকি আমার স্ত্রী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান,আমি আমার সকল সামাজিক, রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক কার্যক্রমের জন্য জেনারেল এম.এ.জি ওসমানী অ্যাওয়ার্ড -২০১৫,আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্বর্ণপদক -২০১৫, প্রয়াত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ স্বর্ণপদক-২০১৫, মাদার তেরেসা স্বর্ণপদক -২০১৫,স্বাধীনতা পদক -২০১৪, বর্ষসেরা সম্মাননা পদক-২০১৪, হিউম্যান রাইটস লাইফ মেম্বার অ্যাওয়ার্ড -২০১৪,বিজয় শান্তি সম্মাননা পদক-২০১৪ গ্রহণ করি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ছিলেন ঢাকা-১৮ আসনের সাংসদ। তিনি জ্বর, অ্যালার্জিসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৯ জুলাই রাতে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়।

দলীয় মনোনয়ন পেলে ঢাকা -১৮ আসনের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে তিনি জানান, আমার উদ্দেশ্য দীর্ঘ জীবনের রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতার আলোকে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করা। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সোনার বাংলা বির্নিমানে যথাসম্ভব অবদান রাখা। দল আমাকে ঢাকা-১৮ আসনে মনোনয়ন দিলে এখনকার আপামার জনগণের সমর্থন নিয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সাবির্ক জীবন-মান উন্নয়নে তথা সমাজ, দেশ ও বিশ্বের শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণে কাজ করে যাওয়া।